গত ১৪ বছরে ৪৫টি ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই ৪৫টি অ্যালোপ্যাথি ওষুধ কোম্পানির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
বুধবার জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর ভেজাল ও নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন লাইসেন্স সাময়িক বাতিল বা বাতিল, উৎপাদন ও বাজারজাতকরণে স্থগিতাদেশ প্রদান করে থাকে। ওষুধ প্রশাসনের নেয়া এসব ব্যবস্থা সম্পর্কে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন আকারে বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।
দিদারুল আলমের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে শনাক্তকৃত এইচআইভি রোগীর সংখ্যা ৯ হাজার ৭০৮ জন। এর মধ্যে ৬ হাজার ৭৫ জন চিকিৎসাধীন এবং মারা গেছেন ১ হাজার ৮২০ জন।
‘৫০ হাজার নদী দখলকারীর নাম প্রকাশ’
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমের প্রশ্নের জবাবে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ইতোমধ্যে সারা দেশের অবৈধ দখলদারের সমন্বিত খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং জেলাভিত্তিক দখলদারের তালিকা নদী রক্ষা কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ৫০ হাজারের বেশি দখলদারের পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যাসহ বিভিন্ন নদীর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে নদীগুলো অনেকটা দখল মুক্ত করা হয়েছে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কাজ চলমান রয়েছে। এ পর্যন্ত ১৫ হাজারের অধিক অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের তথ্য জেলা প্রশাসকরা কমিশনে পাঠিয়েছে। নদীভিত্তিক অবৈধ দখলদারের তালিকা ও উচ্ছেদ সংক্রান্ত অগ্রগতির তালিকা প্রণয়নের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে।