লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ১৪ লিটার দুধের সঙ্গে ২৬ লিটার পানি মিশিয়ে বিক্রির সময় জগৎপুর ইমি ডেইরি ফার্মের কর্মচারি ফারুক হোসেনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার রাত ৮টায় রামগঞ্জ থানার পিছনে ওয়াবদা সড়কের চৌরাস্তায় ভেজাল দুধ বিক্রি করতে গেলে জনতার হাতে আটক হয় দুধ বিক্রেতা ফারুক হোসেন। পরে সাংবাদিকের উপস্থিতিতে রামগঞ্জ পৌর সেনেটারী ইন্সপেক্টর আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রাকিবুল হাসান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে হাবীবা মীরা এসে দুধগুলো পরিক্ষা নিরীক্ষা করে দেখেন, দুধের মধ্যে প্রায় ৯০% পানি মিশানে হয়েছে।
এসময় দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রির দায়ে বিক্রেতা ফারুককে ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা। পরে পানি মিশ্রিত দুধগুলো পার্শ্ববর্তী মোহাম্মদিয়া এতিমখানায় দিয়ে দেন তিনি।
ভেজাল দুধ বিক্রেতা ফারুক হোসেন বলেন, আমি জগৎপুর ইমি ডেইরি ফার্মে চাকুরি করি। ফার্মের মালিক বাচ্চু মিয়া আমাকে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ৪০ লিটার দুধ দেয়। আমি সেগুলো ৫০, ৬০,৭০ টাকা দরে এখানে বিক্রি করি। এই খামার থেকে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩০০ লিটার দুধ পুরো রামগঞ্জে বিক্রি করা হয়। আজকে ১৪ লিটার দুধে ২৬ লিটার পানি মিশানো হয়েছে বলে ফারুক জানিয়েছে।
কয়েকজন ক্রেতা জানান, আমরা যখন এখান থেকে দুধ ক্রয় করি তখন বাড়িতে গিয়ে দেখি দুধের অধিকাংশই পানি। আমাদের মনে সন্দেহ থাকার কারনে সাংবাদিক এবং স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় তাকে পানি মিশানো ভেজাল দুধসহ আটক করি। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকবৃন্দ উর্দ্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবিহিত করেন। জগৎপুর ইমি ডেইরি ফার্মের মালিক বাচ্চু মিয়া বলেন, মানুষ ৩০-৪০ টাকা দিয়ে দুধ কিনে। দুধে পানি মেশাবোনাতো কি মেশাবো। রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে হাবীবা মীরা বলেন, দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রির দায়ে বিক্রেতা ফারুককে ১হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে একই অপরাধে জড়ালে তাকে কারাদণ্ড দেয়া হবে।