দীর্ঘ ১৯ বছর পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পদ পেয়েছেন ২৮৩ নেতা কর্মী। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সহ-সভাপতি হিসেবে স্থান পেয়েছেন গুম হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের তিন কর্মী আসাদুজ্জামান রানা, মাজাহারুল ইসলাম রাসেল ও আল-আমিন।
শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল সাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে ১ জুলাই আসাদুজ্জামান আসলামকে সভাপতি ও সুজন মোল্লাকে সাধারণ সম্পাদক করে পাঁচ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করে ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদ।
ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন— সিনিয়র সহসভাপতি ইব্রাহিম কবির মিঠু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল ও সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আরেফিন।
তারপর ২৫ জুলাই এক বিজ্ঞপ্তিতে মো.মোস্তাফিজুর রহমান রুমিকে প্রচার সম্পাদক ও সাখাওয়াতুল ইসলাম খান পরাগকে দফতর সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ৯ আগস্ট থেকে শাখা ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের জন্য ফরম বিতরণ শুরু করে। সংগঠনকে গতিশীল করতে তিন মাসের মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হলো।
জানা যায়, সবশেষ ২০০৩ সালে ৮১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কমিটি পায় জবি ছাত্রদল। দীর্ঘ ১৯ বছর পরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের পূর্নাঙ্গ কমিটি হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন হামলা মামলার শিকারের ফলে দলটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের ২৮৩ সদস্য এ কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সহ-সভাপতি ৫৫ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ৬৭, সহ সাধারণ সম্পাদক ৫৬ জন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ৫৭, সম্পাদক ২৭ জন এবং সদস্য ১৮ জন। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা পর্যন্ত পদ পেয়েছেন।
দীর্ঘদিন পর পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা দিয়ে জবি ছাত্রদল সভাপতি আসাদুজ্জামান আসলাম বলেন, দীর্ঘ ১৯ বছরের শ্রমের ফসল হিসেবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বহুল কাঙ্ক্ষিত পূর্নাঙ্গ কমিটি উপহার দেওয়ায় আপসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও আগামীর অবশ্যম্ভাবী রাষ্ট্রনায়ক দেশনায়ক তারেক রহমানকে জবি ছাত্রদলের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সংগ্রামী সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ ভাই ও বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েলের প্রতি। দেশমুক্তির আসন্ন যুদ্ধে জবি ছাত্রদল রাজপথে অগ্রগামী সৈনিকের ভূমিকা পালন করে এদেশের গণমানুষের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে দিবে এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের প্রতিটি নেতা কর্মী তাদের জীবনের শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত রাজপথ ছেড়ে যাবে না।