দেশের দুই হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ ইন্টারনেট সংযোগ দেয়ার জন্য দুইটি বিনিয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে চুক্তির অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয়ক সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি চুক্তির খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানান।
তিনি বলেন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলকে (বিসিসি) ‘জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন (ইনফো-সরকার ৩য় পর্যায়) প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ২৯৩টি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন, পরিচালনা ও রেভিনিউ শেয়ারিংয়ের জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারী সংস্থা সামিট কমিউনিকেশনের সঙ্গে পিপিপি চুক্তির খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর একই প্রকল্পের আওতায় এক হাজার ৩০৭টি ইউনিয়নে উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন ও ইন্টারনেট অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, আপগ্রেডেশন, প্রতিস্থাপন, পরিচালনা ও রেভিনিউ শেয়ারিং এর জন্য বেসরকারি বিনিয়োগকারী সংস্থা ‘ফাইবার এট হোম’ এর সঙ্গে পিপিপি চুক্তির খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান সচিব।
সাঈদ মাহবুব খান জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৮তম ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৩টি ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য ৪টি প্রস্তাব উপস্থাপন করা হয়। সভায় সবগুলো প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে বলে জানান সচিব। তিনি বলেন, সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় অনুমোদন দেয়া প্রস্তাবগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ২টি, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ১টি প্রস্তাবনা ছিলো। অনুমোদিত ৪টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ ৬ হাজার ৬৯ কোটি ৭১ লাখ ৮ হাজার ৫৬৪ টাকা। মোট অর্থায়নের সম্পূর্ণ অর্থই জিওবি থেকে ব্যয় হবে।