২৫ আগস্ট ২০২২খ্রিঃ তারিখ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে রাত্রিকালীন মাইক-৪ ও বিশেষ অভিযান উপলক্ষে ডিউটি করাকালে অফিসার ইনচার্জ, শিবপুর মডেল থানার মাধ্যমে সংবাদ পায় যে, ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা হতে একটি সবুজ রংয়ের প্রাইভেটকার যোগে অবৈধ মাদকদ্রব্য নরসিংদীর দিকে আসতেছে। উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে এসআই(নি:)/মুক্তার হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ গাড়ী পর্যবেক্ষণ করতে থাকে। এক পর্যায়ে প্রাইভেটকারটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের গাবতলী বাসষ্ট্যান্ডের নিকট পৌছলে এসআই(নি:)/মুক্তার হোসেন গাড়ীটিকে থামার জন্য সিগন্যাল দেয়। তখন গাড়ীর ড্রাইভার গতি পরিবর্তন করে দক্ষিণ দিকে যোশর রোডে ঢুকে যায়। তখন ধাওয়া করলে এক পর্যায়ে কিছু দূর যাওয়ার পর ড্রাইভার দিশেহারা হয়ে গাড়ীর স্টার্ট বন্ধ করে গাড়ীটি শিবপুর থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের যোশর গাবতলী সাকিনস্থ দক্ষিণ পাশে যোশর শাখা রোডে মৃত আহম্মদ এর টং দোকানের সামনে রেখে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থলে গাড়ীতে থাকা তাসমিয়া রশিদ নোভা (২২), পিতা-হারুন অর রশিদ, মাতা-মনোয়ারা বেগম, সাং-কাজীপাড়া ৫নং ওয়ার্ড, হোল্ডিং নং-৫১১, থানা-ব্রাহ্মনবাড়িয়া সদর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়িয়াকে পুলিশ হেফাজতে নেয়। রাত ০২.১০ ঘটিকায় ধৃত আসামীর উপস্থিতিতে পুলিশ গাড়িটি তল্লাশী করে গাড়িতে থাকা ০২টি কালো রংয়ের কাপড়ের ট্রাবেলিং ব্যাগের ভিতরে নীল রংয়ের স্কচটেপ দিয়ে মোড়ানো ৩০ (ত্রিশ) কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন।
আলামতের বিবরণ- (উদ্ধারকৃত প্যাকেট ২৮টি)
১। ০১ কেজি ওজনের ২৬টি প্যাকেটে (২৬x১) = ২৬ (ছাব্বিশ) কেজি গাঁজা। ২। ০২ কেজি ওজনের ২টি প্যাকেটে (২x২) = ০৪ (চার) কেজি গাঁজা । সর্বমোট উদ্ধারকৃত গাঁজার পরিমান ৩০ (ত্রিশ) কেজি, যার মূল্য অনুমান ৬,০০,০০০/- (ছয় লক্ষ) টাকা।
এছাড়া উক্ত মাদক পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত একটি VISTA নামীয় গাঢ় সবুজ রংয়ের প্রাইভেটকার জব্দ করা হয়।
এ সংক্রান্তে শিবপুর মডেল থানার মামলা নং-১৫, তারিখ-২৫ আগস্ট, ২০২২খ্রিঃ, ধারা-মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের-১৯(গ) রুজু করা হয়েছে।