আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও শফিউল আলম নাদেলের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন ওয়াসিকা আয়েশা খান।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ৯টার পর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কমিটিতে নতুন করে স্থান পাওয়া নেতাদের নাম ঘোষণা করেন।
গত ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে ৮১ সদস্যের কমিটির ৪২ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ৩৯ জনের নাম ঘোষণা বাকি ছিল। বৃহস্পতিবার এই ৩৯ জনের নাম ঘোষণার কথা থাকলেও ৩২ জনের নাম ঘোষণা করেছেন ওবায়দুল কাদের।
এখনো দলের কোষাধ্যক্ষ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, ধর্ম সম্পাদক, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তিনজন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্যের নাম ঘোষণা বাকি রয়েছে।
এ ব্যাপারে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির বেশকিছু পদে দায়িত্বপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়নি। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নেতাকর্মীরা রয়েছেন, তাদের প্রতি সুবিচার করার বিষয় আছে। এসব বিবেচনায় ৩২ জনের নাম ঘোষণা করা হলো।
কমিটিতে এলেন যারা
সাংগঠনিক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল
অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক : ওয়াসিকা আয়েশা খান
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: সেলিম মাহমুদ
উপ-প্রচার সম্পাদক : আমিনুল ইসলাম
উপ দপ্তর সম্পাদক: সায়েম খান
শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক সম্পাদক: হাবিবুর রহমান সিরাজ
কার্যনির্বাহী সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর, নুরুল ইসলাম ঠান্ডু, বদর উদ্দিন কামরান, দীপঙ্কর তালুকদার, অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম, আক্তার জাহান, ডাক্তার মুশফিক, অ্যাডভোকেট রিয়াজুল কবির কাওছার, মেরিনা জামান কবিতা, পারভিন জামান কল্পনা, হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা খাতুন, অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, শাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, গোলাম রব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা।
কেন্দ্রীয় কমিটির নতুন সদস্যদের নাম ঘোষণা শেষে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ৩ জানুয়ারি নতুন কমিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে।
গত ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে প্রথম দফায় ৮১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কাউন্সিলররা শেখ হাসিনাকে সভাপতি এবং ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করেন। সেদিন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও কমিটির ৪২ জন সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল।
প্রথম দফায় কমিটিতে থাকা সদস্যরা হলেন
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, নুরুল ইসলাম নাহিদ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য্য, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এদের মধ্যে নতুনভাবে যুক্ত হয়েছেন ড. হাছান মাহমুদ এবং আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।
সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম। এর মধ্যে আহমেদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক ও আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন আগের কমিটিতেও একই পদে ছিলেন। আর আগের কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য থেকে সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন বাকি দু’জন।
অন্যান্য সম্পাদকীয় পদ আওয়ামী লীগের বিদায়ী কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্যদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার চাঁপা, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হয়েছেন হারুনুর রশিদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুর সবুর ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস নতুন কমিটিতেও নিজ নিজ সম্পাদক পদ ধরে রেখেছেন।
বাকি সম্পাদক পদগুলোর মধ্যে আইন বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন নজিবুল্লাহ হিরু, দফতর সম্পাদক হয়েছেন ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হয়েছেন ড. আব্দুস সোবাহান গোলাপ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন মেহের আফরোজ চুমকী।