মোঃ জাবেদুল ইসলাম,আনোয়ারাঃঃ চট্টগ্রামে আনোয়ারার উপজেলায় সম্প্রতি বিভিন্নস্থানে প্রতিনিয়ত দেখা দেয় নজিরবিহীন লোডশেডিং। দিনে ও রাতে মিলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এতে তীব্র গরম মারাত্মক লোডশেডিংয়ের অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
বিদ্যুৎ–সংকট মোকাবিলায় দেশজুড়ে এলাকাভিত্তিক লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জনগণের ভোগান্তি কমাতে সরকার এলাকা ভিত্তিক ২ ঘন্টা করে লোডশেডিংয়ের উদ্যােগ নিলে ও সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে না বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এলাকাভিত্তিক তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে প্রতিদিন।
বৈরাগ ইউনিয়নের পরিষদ সন্তানের জন্মনিবন্ধনে করতে আসা রুবেল নামে একব্যক্তি। ঘন ঘন লোডশেডিং কারণে সন্তানের জন্মনিবন্ধনে করতে এসে হিমসিম খেতে হচ্ছে । ইউনিয়ন পরিষদের সেবা নিতে আসা দীর্ঘ লাইনের দাঁডিয়ে যখন সিরিয়াল আসলো। তখন পরিষদের এক কর্মকর্তা জানান, ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ইন্টারনেটের গতি কম, সার্ভারের সমস্যা করতেছে আপনি বাহির কম্পউটারের দোকান থেকে অনলাইনের আবেদন করা আসুন। বাহিরের কম্পউটারের দোকান থেকে সন্তানের জন্মনিবন্ধন অনলাইন আবেদন কপি দেখালে। বিদ্যুৎ নেই বলে সার্ভারের চেক করতে পারতেছে বলে জানান।তবে ২ ঘন্টার পর বিদ্যুৎ আসলে সন্তান জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন হয়।
লোডশেডিংয়ের ভুক্তভোগী গ্রাহণ মোঃ সোলাইমান জানান, উপজেলা প্রতিদিন দিন-রাত নজিরবিহীন লোডশেডিং হচ্ছে সকাল ৭ টা দিকে গেলে ১২ দিকে আসে না।মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ আসলে ৫-২৫ মিনিট বিদ্যুৎ থেকে আবার চলে যায়। বিকাল ২ টায় দিকে লোডশেডিং হলে ৪- ৫টা দিকে আসেন।রাতে কথা কি বললো প্রতিদিন রাত সাড়ে ১১ দিকে প্রতিদিন লোডশেডিং হলে যা মধ্যেরাত ২ থেকে ৪ পর্যন্ত থাকে। তীব্র গরমের জন্য লোডশেডিং জন্য রাতে শান্তিতে ঘুমটা মাটি হয়ে যাচ্ছে।
পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ী মোঃ শাহেদ জানান, ঘন ঘন লোডশেডিং কারণে ফার্মে প্রতিদিন ব্রয়লার মুরগি মারা যাচ্ছে। এই ভাবে লোডশেডিং হলে লাভে চেয়ে অধিক পরিমাণ লোকসানের গুনতে হবে।
আনোয়ারায় পল্লী বিদ্যুতের অফিস সূত্র যায়, উপজেলার ১১ ইউনিয়নের প্রায় ৯০ হাজার গ্রাহক। প্রতিদিন ৩টি সাব স্টেশনের গ্রাহকদের জন্য ২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। জ্বালানি জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির বিদ্যুৎ–সংকট মোকাবিলায় কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে ৯ মেগাওয়াট। যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।একটি ফিডার চালু করলে দুটি ফিডার বন্ধ রাখতে হয়।এ কারণে লোডশেডিং একটু বেশি হচ্ছে।
এব্যাপারে আনোয়ারা জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ জসীম উদ্দীন জানান, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস এলএনজি গ্যাসের সমস্যা হওয়ার কারণে জাতীয়ভাবে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে। এই লোডশেডিং এ আমাদের কোন হাত নেই। প্রতিদিন যে পরিমাণ বিদ্যুৎ আমাদের দেওয়া হয় তা প্রতিটি সাব স্টেশনে ভাগ করে দিয়ে থাকি। অথচ স্থানীয় গ্রাহকরা এ বিষয়ে আমাদের দোষারোপ করেছেন । ইচ্ছে করে আমরা ভোগান্তি সৃষ্টি করি না এই পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার নাই।