নিজেদের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য সম্ভাব্য বাজার চিহ্নিত করতে এরই মধ্যে সম্মত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ রাষ্ট্র বাংলাদেশ এবং উত্তর-পূর্ব আফ্রিকান দেশ মিশর। গত বুধবার রাজধানী কায়রোতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং মিশরের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী নেভিন গামিয়ার মধ্যে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হলে তারা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি জানানো হয়েছে।
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশ সরকার আফ্রিকা অঞ্চলে রফতানি বাড়াতে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ডি-৮-এর অধীনে উভয় দেশই (বাংলাদেশ ও মিশর) সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বাণিজ্যের সুবিধার্থে কাজ করছে।
একই দিনে শাহরিয়ার আলম কায়রোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে সুয়েজ খাল অর্থনৈতিক অঞ্চলের সিইও ইঞ্জিনিয়ার ইয়াহিয়া জাকিরের সঙ্গে তার কার্যালয়ে দেখা করেন।
এ সময় সিইও ইয়াহিয়া জাকির বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের সুয়েজ খাল অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান। জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীরা সুয়েজ খালের উপযুক্ত এলাকায় বিনিয়োগ করতে পারে।
মিশরের পর্যটন ও পুরাকীর্তি মন্ত্রী এডি খালেদ আল-আনানির সঙ্গে পৃথক বৈঠকে শাহরিয়ার আলম ঢাকা-কায়রো সরাসরি বিমান যোগাযোগ চালু করায় আনন্দ প্রকাশ করেন।
বৈঠকে আল-আনানি বলেছিলেন, তার সরকার মিশরের পর্যটন খাতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা বিনিময়ের প্রস্তাব করবে।
ওইদিন সন্ধ্যায় শাহরিয়ার আলম মিশরের পরিকল্পনা ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন মন্ত্রী ড. হালা হেলমি আলসাঈদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক করেন। বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ সরকার আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, সেদিন সন্ধ্যায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মিশরীয় চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি, পোশাক ও বস্ত্র শিল্পের প্রতিনিধি এবং মিশরীয় উদ্যোক্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। যেখানে তিনি ব্যবসা ও যৌথ সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে মিশরীয় বিনিয়োগকারীদের এবং ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।