Saturday , 20 April 2024
শিরোনাম

আশুলিয়ায় বিষাক্ত রং দিয়ে তৈরী হচ্ছে মুখরোচক খাদ্য

মোঃরেজাউল করিম:

স্বাস্থ্য ঝুকিতে বাংলাদেশের মানুষ,ভেজাল খাদ্যের কারণে অল্প বয়সে মেনে নিতে হচ্ছে মৃত্যুর সাধ, আমরা মাছে ভাতে ভাঙ্গালি সেই মাছ থেকে শুরু করে,ফল, শাক-সবজি সহ সকল খাদ্যে মিশানো হচ্ছে কেমিক্যাল। আইন থাকলেও নেয়া হচ্ছে না কঠোর আইনি কোন ব্যবস্থা।
আশুলিয়ায় মুখরোচক খাদ্যে মেশানো হচ্ছে মরণ নাশক রং সহ বিভিন্ন কেমিক্যাল। এরকম একাধিক কারখানা গড়ে উঠেছে আশুলিয়ার নরশিংহপুর বাংলা বাজার, ও দোকাটি কাঠগড়ায়। ধামরাই, মামা ভাগন্নে চানাচুর মালিক মোঃ বাবুল , দোকাটি কাঠগড়ায়, প্রেম, চানাচুর, মালিক মোঃ শফিকুল, বাংলা বাজারে মদিনা, চানাচুর ফজলুর রহমান, সহ বিভিন্ন নাম ব্যবহার করে কারখানা চালাচ্ছেন এরা। বাজার জাতও হচ্ছে সাভার আশুলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায়।
এমন সংবাদের ভিত্তিতে বাংলা বাজার গেলে দেখা যায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ক্ষতিকর রং ও কেমিক্যাল মিশিয়ে তৈরী হচ্ছে মদিনা চানাচুর। প্যাকেজিং ও বাজার জাত করছেন মদিনা চানাচুর নামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় ফজলুর রহমান (৩৬) টাংগাইল জেলা থেকে এসে দীর্ঘদিন যাবৎ বাংলা বাজার এলাকায় কোন কাগজ পত্র ছাড়া অনুমতি বিহীন অবৈধ ভাবে নিজের ইচ্ছেমত কাপড়ের রং ও কেমিক্যাল খাদ্যে ব্যবহার করে তৈরী করছেন চানাচুর, ডাবরি বুট, বাদাম, ডাউল, চাউল বাজি সহ নানা মুখি মুখরোচক খাদ্য।
খাদ্যে রং মিশানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুর মিষ্টি হেসে বলেন রং না দিলে এই এলাকায় চানাচুর চলে না তাই আমি রং মিশাই। এবং সকলকে ম্যানেজ করেই কারখানা চালিয়ে আসছি, আমার কারখানা চালাতে কোন সমস্যা ও হয়না।
প্রেম চানাচুর মালিক শফিকুল ইসলাম বগুড়ায় বাড়ি । আর পেশিশক্তির দাপট দেখিয়ে ব্যবসা করছেন ধামরাই এর বাবুল তিনিও দীর্ঘদিন নলাম আকরাইন ব্রিজের পশ্চিমে চালাচ্ছেন কারখানা।

আশুলিয়া বাসী বলছেন ভেজাল খাদ্য তৈরীতে নেয়া হচ্ছে না আইনি ভাবে কঠোর শাস্তির কোন ব্যবস্থা। এ কারণেই প্রতিদিন অসুস্থ হচ্ছে সাধারণ মানুষ , স্থানীয় প্রশাসন এবিষয়ে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদী সচেতন মহল।

Check Also

ওমরাহ থেকে ফেরার সময় নির্ধারণ করে দিল সৌদি আরব

হজ শুরুর আগে যারা ওমরাহ পালন করতে গিয়েছেন তাদের ফিরে যাওয়ার জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x