ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর আগামী যুদ্ধ হবে চীন এবং তাইওয়ানের মধ্যে। ভবিষ্যদ্বাণীটি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, রাশিয়া এখন যেমন ইউক্রেনে হামলা চালাচ্ছে, ঠিক সেভাবে চীনও আক্রমণ করবে তাইওয়ানকে। খুব শীঘ্রই সেই যুদ্ধ বাধতে চলেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প আরো বলেন, শি (চিনফিং) এখন রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ দেখে মজা নিচ্ছেন আর ভাবছেন যুক্তরাষ্ট্র কী বোকা। আমি নিশ্চিত এ সব দেখে তাইওয়ানে হামলার পরিকল্পনা করছে তারা।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে সতর্ক করে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনে যেমন বাইডেন সরকার যুদ্ধ আটকাতে পারেনি, ঠিক তেমনই তাইওয়ানকেও বাঁচাতে ব্যর্থ হবে তারা।
বাইডেন প্রশাসনের ব্যর্থতার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, ইউক্রেনে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সফল হলেই চীন তাইওয়ানে হামলা চালাবে। তখনও এমনই হাত গুটিয়ে বসে থাকবেন বাইডেন।
ট্রাম্প মনে করেন তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট থাকতেন তবে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধই হত না। তার যুক্তি, পুতিন তার সঙ্গে এমন করতেই পারতেন না। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের বন্ধুত্ব সমালোচিত হয়েছে। সম্প্রতি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীনও ট্রাম্প একবার পুতিনের পক্ষে কথা বলেছেন। এরপর তার সমালোচনা শুরু হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের এক সপ্তাহ সম্পূর্ণ হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর ক্রমাগত প্রতিরোধে এখনও রাজধানী কিয়েভের দখল নিতে পারেনি রুশ সেনারা। যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে সাহায্য না করলেও ইউক্রেনের জন্য অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
প্রসঙ্গত, চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দক্ষিণ চীন সমুদ্রের দ্বীপ তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত রাষ্ট্র বলে দাবি করে। অন্যদিকে, চীন সরকার মনে করে তাইওয়ান তাদের অঙ্গ। বহুবার নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করতে চাইলেও তাদের দাবি বারবার প্রতিহত করেছে চীন। তবে তাইওয়ানের স্বাধীন হওয়ার ইচ্ছে দমিয়ে রাখতে পারেনি দেশটি। ১৯৭৯ সালে একটি আইনের মাধ্যমে তাইওয়ানকে সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযত্নে আনা হয়।