রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন রুবলে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে ডিক্রি জারি করে মূলত ইউরোপকে ‘ভাগ’ করার পরিকল্পনা করছেন। বিবিসি বুধবার এক বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পোল্যান্ড এবং বুলগেরিয়া রুবলে গ্যাসের দাম পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানোয় বুধবার দেশ দুটিতে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান গ্যাসপ্রম।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানেন, ইউরোপ রাশিয়ার গ্যাসের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু রাশিয়ার রাজস্বের প্রয়োজন – এমনকি যে দেশগুলোকে তিনি বন্ধু মনে করেন না, তাদের কাছ থেকেও পুতিনের রাজস্ব আদায়ের প্রয়োজন রয়েছে।
ধারণা করা হয়,শুধুমাত্র চলতি বছরের জানুয়ারিতেই জার্মানি এবং পোল্যান্ডসহ এই দেশগুলো তাদের গ্যাসের জন্য ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রাশিয়াকে দিয়েছে।
এই কারণেই পুতিনের রুবলে গ্যাসের মূল্য পরিশোধের ব্যাপারে পুতিনের প্রকাশ্য দাবির পরও বাস্তবতা আরও জটিল বলেই মনে হচ্ছে।
শুধুমাত্র রাশিয়ান ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে মুদ্রা রূপান্তর করেই দেশগুলো ইউরো বা ডলারে চূড়ান্ত অর্থ প্রদান করতে পারবে।
কিছু দেশ ইতোমধ্যেই রাশিয়ান ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। হাঙ্গেরির পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো আগেই নিশ্চিত করেছেন যে তার দেশ রুবলেই গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করবে।
পুতিন নিঃসন্দেহে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থনের প্রতিশোধ হিসেবে ইউরোপকে চাপ সৃষ্টি এবং ইউরোপকে বিভক্ত করতে আগ্রহী। এটা পুতিনের একটি কৌশল। রাশিয়া ওপর শক্তি নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে একমত হতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ব্যর্থতার কারণে এই কৌশল আংশিকভাবে সফল হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে।