Wednesday , 24 April 2024
শিরোনাম

এক মুকুটবিহীন যুবরাজের গল্প এ যেন চাঁদাবাজি আর অর্থপাচারের এই স্বর্গরাজ্য

——– জিয়াউর রহমান মারা যাওয়ার পর টেলিভিশনে ভাঙ্গা সুটকেস এবং ছেঁড়া গেঞ্জি দেখানো হয় খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কালো টাকা সাদা করার জন্যে ৩৪ লাখ টাকা জরিমানা দিয়েছিলেন তাহলে খালেদা জিয়ার শুধু দেখানো সম্পদ কতো ছিল ? হঠাৎ করে এত টাকার মালিক হলো কিভাবে? কয়েক বছরের মধ্যেই দেখা গেল জিয়া পরিবার হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদের মালিক। লঞ্চ, টেক্সটাইল মিলস, বিদেশে বাড়ি, ব্যাংক-ব্যালেন্স এগুলো হঠাৎ কোথা থেকে এলো? পুরো জিয়া পরিবার অর্থাৎ খালেদা জিয়া, তারেক, কোকো সবাই শুধু অসৎ নয়, তারা চরম দুর্নীতিবাজ, জিঘাংসাপরায়ণ, ক্ষমতালোভী। আদালতে খালেদা জিয়া এবং তার দুই ছেলের দুর্নীতি প্রমাণ হয়েছে এবং সাজা হয়েছে। তারা শুধু দুর্নীতির মাধ্যমে টাকার মালিক হয়েই ক্ষান্ত হয়নি, সেই টাকা বিদেশে পাচারও করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস তারেক রহমানের ১২ কোটি টাকা আটক করেছিল। ২০১২ সালে সে টাকা দেশে ফেরত আসে। বাংলাদেশের কোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে ২০১৩ সালে সিঙ্গাপুর ৮ কোটি টাকা ফেরত দেয়। তারেক ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন সিঙ্গাপুরে সিটিএনএ ব্যাংকে ২১ কোটি টাকা পাচার করে। আমেরিকার এফবিআই এ ব্যাপারে তদন্ত করেছে। ২০১২ সালে এফবিআই-এর কর্মকর্তা ঢাকায় বিশেষ আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে গেছেন। এ মামলায় হাইকোর্টে তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা এবং ২১ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একইভাবে লন্ডনের Nat West ব্যাংকে প্রায় ৬ কোটি টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া বিশ্বের অনেক জায়গায় খালেদা জিয়ার ছেলেদের টাকা ও সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। – বেলজিয়ামে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার। – মালয়েশিয়া ২৫০ মিলিয়ন ডলার। দুবাইতে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়ি বাড়ির ঠিকানা : স্প্রি ১৪, ভিলা ১২, এমির‌্যাটস হিলস, দুবাই সৌদি আরবে মার্কেটসহ অন্যান্য সম্পত্তি।

Check Also

কয়রায় নীতি সমস্যা বিশ্লেষণ ও সমাধান কৌশল বিষয়ক প্রশিক্ষণ

কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি ঃ খুলনার কয়রায় ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা ভিত্তিক (সিএসও) নেটওয়ার্ক সদস্যদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x