এবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দুই মেয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলো যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্জেই ল্যাভলভের পরিবার ও প্রধান কয়েকটি ব্যাংকের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে বুচার শহরে রুশ বাহিনীর গণহত্যার অভিযোগ ওঠার পর নতুন করে এ পদক্ষেপ নিল যুক্তরাষ্ট্র। বুচার রাস্তায় মানুষের লাশ পড়ে থাকার ছবিও কয়েকদিন ছড়িয়েছে ইন্টারনেটে।
বুধবার (৬ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট দপ্তর হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পুতিনের দুই মেয়ে মারিয়া ভরোন্তোসভা ও ক্যাটেরিনা টিখোনোভাসহ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের স্ত্রী ও মেয়ে এবং রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের সদস্যরাও রয়েছেন।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞার আওতায় রাশিয়ার শীর্ষ সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকও রয়েছে।
বিবৃতিতে হোয়াইট হাউস জানায়, এসব ব্যক্তিবর্গ রুশ জনগণের টাকায় নিজেদের সমৃদ্ধ করেছেন। তাদের মধ্যে অনেকে আবার ইউক্রেনে রুশ হামলাকে সমর্থন করছে। তাই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।
যুক্তরাষ্ট্রের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, আমাদের ধারণা রুশ প্রেসিডেন্টের সম্পত্তির অনেকটাই পরিবারের সদস্যদের নামে করা রয়েছে। তারা বেনামে লেনদেন করে। তাই তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে লক্ষ্যবস্তু বানানো হলো এবার।
বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ ওই কর্মকর্তার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল কেন পুতিনের মেয়েদের এর ভেতর টানা হচ্ছে- জবাবে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করছে, তারা তাদের বাবার সম্পদের নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।
অন্যদিকে রাশিয়ার বৃহত্তম সরকারি এবং বেসরকারি দুই ব্যাংক- বার ব্যাংক এবং আলফা ব্যাংককেও ‘ব্লক’ করেছে হোয়াইট হাউস। পাশাপাশি আপাতত রাশিয়াতে কোনো ধরনের বিনিয়োগ করবে না যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া অন্যান্য রুশ সংস্থার ওপরও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এর আগে রুশ সৈন্যরা বুচা শহরে যুদ্ধাপরাধ করেছে বলে ইউক্রেনের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাশিয়ার ওপর অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানায় পশ্চিমা দেশগুলো।
বুচার ঘটনা প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সেখানে যুদ্ধাপরাধের চেয়ে কম কিছু হচ্ছে না। এর জন্য দায়ীদের বিচারে দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলোকে এক হয়ে কাজ করতে হবে।