মহান বিজয় দিবস আজ (শুক্রবার)। এটি বাঙালি জাতির আত্মগৌরবের দিন।১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। এই বিজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ব-মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন ও সার্বভৌম হানাদারমুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রের। ৩০ লাখ শহীদের জীবন আর দুই লাখ মা-বোনের ত্যাগ এবং কোটি বাঙালির আত্মনিবেদন ও গৌরবগাঁথা গণবীরত্বে পরাধীনতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পায় বাঙালি জাতি।
বাংলাদেশের পাশাপাশি দিনটি পাতি হয়েছে কলকাতাতেও। ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় শাখা, কলকাতা ফোর্ট উইলিয়াম দিবসটি পালন উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা এবং শহীদ সেনাদের স্মরণ করেছে।
শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে ৫১তম বিজয় দিবস উপলক্ষে ফোর্ট উইলিয়ামের ইস্পগেটে অবস্থিত বিজয় সামারোখ শহীদ বেদীতে ফুল দেয় ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিন বিভাগ, মুক্তিযোদ্ধা ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বিজয় দিসব উপলক্ষে ভারতীয় সেনাবাহিনীর অভ্যর্থনায় কলকাতায় এসেছেন সস্ত্রীক ৩০ বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশের বীরপ্রতীক ও ভারতের পদ্মশ্রী পুরস্কার প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা লেফটেনেন্ট কর্নেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৬ কর্মকর্তা ও তাদের পরিবার।
শ্রদ্ধা জানান কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল (আইপিএস), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মো. মাহবুবুর রশিদ, ভারতের সাবেক বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল (অব.) অরূপ রাহা। সবশেষে বিজয় স্মারককে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রানা প্রতাপ কলিতা। এর আগে হিন্দু, মুসলিম, শিখ ও খ্রিষ্টান-চার ধর্মের ধর্মগুরুরা নিজেদের মতো করে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের উদ্দেশ্যে মোনাজাত করেন এবং সেনাবাহিনীর গৌরবময় বীরত্ব তুলে ধরেন।
সকালে কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি হাইকমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। । এরপর মিশন প্রাঙ্গণে ‘মুজিব চিরঞ্জীবী’ বেদিতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান সকলে। দিবসটি উপলক্ষে এদিন বিকেলে পৃথকভাবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন ও ভারতীয় সেনাবাহিনী।