গাজীপুরের কালিয়াকৈরে যাত্রীবাহী বাস ও অটোরিকশার মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অটোরিকশাচালক ও যাত্রীসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মাকিষবাথান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, টাঙ্গাইলের ভূয়াপুর থানার শেখ বাড়ি এলাকার আয়ুব আলীর ছেলে নজরুল ইসলাম (৩২)। তিনি অটোরিকশা চালক ছিলেন। বরগুনার সদর থানার আংগারপাড়া এলাকার মমিন উদ্দিন সিকদারের ছেলে মেহেদী হাসান বাবলু ( ৪৫)। তিনি স্থানীয় কারখানায় চাকরি করতেন। গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার হিজলতলী এলাকার মৃত আজিম উদ্দিনের ছেলে আতিকুল ইসলাম(৪২), একই উপজেলার লতিফপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে সাইদুল ইসলাম রুবেল (২৭) ও যশোরের মাগুরা থানার দহর এলাকার আতাউর রহমানের ছেলে শাহিন উদ্দিন (২৮।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে আসা ইতিহাস পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উপজেলার মাকিষবাথান এলাকায় পৌঁছালে অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিকট শব্দে ঘটনাস্থলে অটোরিকশাটি মহাসড়কের ওপর দুমড়ে-মুচড়ে যায়। রক্তে ভিজে যায় মহাসড়কটি। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশা চালকসহ দুজন যাত্রী মারা যান। পরে এলাকাবাসী কয়েকজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল কলেজ (কেপিজে) হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ আরো তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পর ঘাতক ইতিহাস পরিবহন বাসটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে ঘাতক বাসের চালক ও হেলপার দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাহাত আকন্দ জানান, বাস-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনার পর ঘাতক ইতিহাস পরিবহন বাসটি জব্দ করা হয়েছে। তবে বাসের চালক ও হেলপারকে আটক করা যায়নি। এছাড়া নিহতের লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।