দেশের বাজারে ইউরিয়া, ডিএপি, টিএসপি ও এমওপি সারের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার (১০ এপ্রিল) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর করার কথা জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবরে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকেও পুনর্নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রি করার জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হোসেন আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বাজারে সারের মূল্য বৃদ্ধিজনিত কারণে সারের আমদানি যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা এবং এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে সারের মূল্য পুনর্নির্ধারণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ডিলার পর্যায়ে ইউরিয়া কেজিপ্রতি ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে ২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। পাশাপাশি ডিলার পর্যায়ে ১৪ টাকা থেকে ডিএপি সারের দাম ১৯ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে ১৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কেজিপ্রতি টিএসপি ডিলার পর্যায়ে ২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে ২২ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া ডিলার পর্যায়ে প্রতিকেজি এমওপি ১৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা এবং কৃষক পর্যায়ে ১৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
যদিও গত ৩ এপ্রিল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে ‘সার বিষয়ক জাতীয় সমন্বয় ও পরামর্শক কমিটির সভা’ শেষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছিলেন, অতীতের মতো আগামী বছরগুলোতে দেশে সারের দাম বাড়বে না।
সেসময় তিনি বলেছিলেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সার নিয়ে কোনো সংকট সৃষ্টি হতে দেবো না। সার নিয়ে যাতে কৃষকদের ভোগান্তি পোহাতে না হয়, (তা দেখা হবে)। কারণ সার নিয়ে কৃষকদের ভোগান্তি হলে আমাদের উৎপাদন কমে যাবে।