দুপুর বা রাতে ভরপেট খাওয়ার পর লম্বা একটা ভাতঘুম অথবা ধূমপান । এ অভ্যাস অনেকের কাছেই বড্ড সুখের। কিন্তু বাস্তবে এই অভ্যাস সুখের থেকে ‘অসুখ’ই বেশি ডেকে আনে। ঘুম বা ধূমপান ছাড়াও এমন অনেক কাজ আছে যা কখনওই ভরা পেটে করা উচিত নয়। আসুন আমরা জেনে নেই খাওয়ার পর কোন কাজ গুলো করা উচিত নয়।
খেয়ে উঠেই ঠান্ডা পানিঃ খেতে খেতে অনেকেই পানি পান করেন। আবার কেউ কেউ খাওয়া শেষ করে পানির গ্লাসে চমুক দিয়ে ওঠেন। এ দুটোর কোনটাই করবেন না। যদি পানি পান করতেই হয় উষ্ণ গরম পানি পান করুন। কারণ, খাওয়ার সময় শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। সে অবস্থায় পেটে ঠাণ্ডা পানি পড়লে হজমের সমস্যা হবে। সেদিক থেকে হালকা উষ্ণ পানি হজমে সহায়তা করে।
খাওয়ার পরপরই চাঃ চায়ের পাতায় অ্যাসিডের পরিমাণ অধিক মাত্রায় থাকে। ফলে, খাবারে যে প্রোটিন থাকে তা অ্যাসিডের উপস্থিতিতে কঠিন হয়ে যায়। যার জন্য হজম হতে বেশি সময় লাগে।
খাওয়ার পরপর ধূমপানঃ খাওয়া শেষ করেই অনেকে সিগারেটে সুখটান দিতে শুরু করেন। যা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সারাদিনে ১০টা সিগারেট শরীরের যে ক্ষতি করে, খাওয়ার পরপর একটি সিগারেট খেলে একই ক্ষতি হয়।
খেয়ে উঠেই ফলঃ আয়ুর্বেদশাস্ত্রে ভরা পেটে ফল খাওয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও, খেয়ে উঠেই সঙ্গে সঙ্গে ফল খাবেন না। এতে পেটে গ্যাস হয়। খাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা পরে অথবা এক ঘণ্টা আগে ফল খাওয়া উচিত।
খেয়ে উঠেই বিছানায়ঃ এতে খাবার ঠিকঠাক হজম হয় না। পরিপাকে ব্যাঘাত ঘটায়। রাতে খেয়ে ওঠার অন্তত দুই থেকে তিন ঘণ্টা পরে ঘুমোতে যান।
খেয়ে উঠেই গোসলঃ এতে হাত-পা সহ সারা শরীরে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। তবে, একই সময়ে পেট ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়ায় পেটের চারপাশে রক্তপ্রবাহ কমে। এতে পাচনতন্ত্রে সমস্যা দেখা দেয়। এ ভাবে চললে গ্যাস, অম্বল, গলা-বুক জ্বালা অবধারিত।