ঢাকার দ্বিতীয় পর্বের শেষ দিনে আজ প্রথম ম্যাচে বড় জয় পেয়েছে রংপুর রাইডার্স। চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) প্রথমবার দলীয় সংগ্রহ দুই শ ছাড়ানো রংপুর ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে তোলে ২১১ রান। লক্ষ্য তাড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৮ রানে থামে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ৫৩ রানে পাওয়া জয়ে ৮ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রংপুর।
রংপুরের জয়ে ব্যাটে-বলে অবদান রাখেন সাকিব আল হাসান। টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় বাংলাদেশি হিসেবে সাত হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার দিনে ১৬ বলে ২৭ রান করেন তিনি। পরে বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই বাঁহাতি স্পিনার। সাকিব ছাড়াও রংপুরের জার্সিতে আলো ছড়িয়েছেন চলতি বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা জিমি নিশাম। ২৬ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংসের পর বোলিয়েও ২ উইকেট নিয়েছেন এই নিউজিল্যান্ড অলরাউন্ডার।
মিরপুরে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে রংপুরকে ভালো শুরু এনে দেন রনি তালুকদার ও দক্ষিণ আফ্রিকার রেজা হেনড্রিকস। বিনা উইকেটে পাওয়ার প্লেতে ৫২ রান তুলে এই জুটি থামে ৬১ রানে। ৪১ বলের জুটি ভাঙে ১৭ বলে ২৪ করা রনি আউট হলে।
দ্বিতীয় উইকেটে রেজা-সাকিবের জুটি থেকে আসে ৬০ রান। ইনিংসের ১৩তম ওভারে সাকিবকে আউট করার পর রেজাকেও ফেরান সালাউদ্দিন শাকিল। অর্ধশতক করা রেজা ৪১ বলে করেন ৫৮ রান। ১২২ রানে ৩ উইকেট হারানো রংপুর এরপর আর কোনো উইকেট হারায়নি। অধিনায়ক নুরুল হাসান ও নিশাম অবিচ্ছিন্ন ৮৯ রানের জুটিতে চট্টগ্রামের বোলারদের স্বস্তিতে থাকতে দেননি।
৫টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিশাম ২৬ বলে ৫১ ও নুরুল ২১ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন। রানের পাহাড় টপকাতে নেমে সুবিধা করতে পারেনি চট্টগ্রাম। সাকিবের সঙ্গে ইমরান তাহিরের ঘূর্ণিতে ১০.৩ ওভারে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারায় দলটি। চতুর্থ উইকেটে ৫৮ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় এড়ান সৈকত আলী ও কার্টিস ক্যাম্ফার। কার্টিস ২১ বলে ২৪ রানে আউট হলে ভাঙে এই জুটি। খানিক পর অর্ধশতক করা (৪৫ বলে ৬২) সৈকতও আউট হন। শেষ দিক শুভাগত (১৩ বলে ৩১* রান) ঝোড়ো এক ইনিংস খেললেও তা হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া কাজে আসেনি।