মোঃ জিলহাজ বাবু: আমের রাজধানী খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৫টি উপজেলাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে উপকারভোগীদের হাতে জমি ও গৃহের মালিকানা হস্তান্তর করা হয়।
২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদ উপহার হিসেবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের উপকার ভোগীদের মাঝে তৃতীয় পর্যায়ের জমি ও গৃহ প্রদানের আগে বক্তব্য দেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গালিভ খান।
এক আকাশের নীচে একটি দেশ, অপার সম্ভাবনার বাংলাদেশ- এই অঙ্গীকার নিয়ে দেশব্যাপী আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় এই পর্যায়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩২ হাজার ৯০৪টি গৃহহীন-ভূমিহীন দুস্থ পরিবারের কাছে ঈদ উপহার হিসেবে জমির দলিলসহ বাড়ি হস্তান্তর করেন। এখন জেলায় ৫৪৬ টি পরিবারের মাঝে জমির মালিকানাসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়।
গৃহহীনে গৃহ দান এর মত এমন মহৎ কাজে যুক্ত থাকার সুযোগ দানের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান, জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তসিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইফফাত জাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক এমপি আব্দুল ওদুদ বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আজিজুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরীন আখতার সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোজাফফর হোসেনসহ অন্যান্যরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্যে বলেন, আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাওয়ার পর যখন মানুষের মুখে হাসি ফোটে তখন সব থেকে বেশি ভালো লাগে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছিলেন। সব মানুষ যেন মানুষের মতো বাঁচতে পারে, সুন্দর জীবন পেতে পারে সেটাই আমাদের লক্ষ্য। সেজন্য এই কাজটি আমরা করব। যাতে এই বাংলাদেশ ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে পারে।
উল্লেখ্য, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় ধাপে দেশের ৪৯২টি উপজেলার এসব অসহায় পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ‘ঈদ উপহার’ হিসাবে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমি পাকা ঘর তুলে দেওয়া হয়। দেশে ভূমি ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে ‘আশ্রয়ণ’ নামে প্রকল্প নেওয়া হয়। এর আওতায় ১৯৯৭ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ৫ লাখ ৭ হাজার ২৪৪টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে।