Friday , 29 March 2024
শিরোনাম

চীনের ১১টি শহরে লকডাউন, যুক্তরাষ্ট্রেও ফের বাড়ছে করোনা

ফিরেছে টেপ দিয়ে ঘেরা কনটেনমেন্ট জোন। আগেভাগে নিত্য-প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে রাখার জন্য বাজারে বাজারে উপচে পড়ছে আতঙ্কিত জনতার ভিড়। শুরু থেকেই ‘জিরো কোভিড’ নীতি নিয়ে চলা চীনের বেশির ভাগ শহরে এখন এটাই পরিচিত চিত্র। দেশটির ২১টি প্রদেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী বেইজিং এবং সাংহাই ও শেনঝেন এর মতো বড় শহরগুলোও রয়েছে।

পিছিয়ে নেই যুক্তরাষ্ট্রও। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ফের মাথা চাড়া দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে সে দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও। তাদের এক বিশেষ সমীক্ষায় এমনটাই উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি)।

চীনে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের জেরে প্রায় ১১টি শহরে লকডাউন চলছে। প্রায় ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ ঘরবন্দী হয়ে পড়েছেন। এই ১১টি শহর ছাড়া অন্যান্য অঞ্চলেও লকডাউন চালু করা শুধু সময়ের অপেক্ষা বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের। তারা জানাচ্ছেন, মঙ্গলবারই এক লাফে নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৫২৮০-তে পৌঁছে গিয়েছে সে দেশে। যা এর আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ!

এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ফের জীবন এবং জীবিকার ছন্দে ফেরার চেষ্টায় হঠাৎ লাগাম পরাতে বাধ্য হয়েছেন প্রশাসনিক এবং স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। করোনা বিধি-নিষেধ শিথিলের পন্থা ঝেড়ে ফেলে ফের বিশাল সংখ্যক মানুষের করোনা পরীক্ষা এবং অন্যান্য কড়াকড়ি নিয়ম ফেরানোর পথে হাঁটতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

যেমন গত কয়েক মাসে ফের পর্যটকদের ভিড়ে গমগমে হয়ে ওঠা সাংহাই-এর বিখ্যাত ‘ওয়াটারফ্রন্ট’ এ সপ্তাহে ছিল একেবারে জনশুন্য। খুব দরকার না-হলে মানুষের রাস্তায় বের হওয়া মানা। ফের ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এ ফেরানো হয়েছে কর্মীদের। আবার অনলাইনেই ক্লাস শুরু হয়েছে শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও। কিছু কিছু প্রদেশে হোটেল-রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়াদাওয়ার উপরেও জারি করা হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।

উত্তর-পূর্বের জিলিন প্রদেশে আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে যা প্রায় তিন হাজার ছাড়িয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর। দক্ষিণের শেনজেন শহরের পরিস্থিতিও ভাল নয়। যার জেরে ইতিমধ্যেই কড়া লকডাউন চালু হয়েছে সেখানেও। বলাই বাহুল্য, এর প্রভাব পড়েছে শেয়ার বাজারেও। হংকং মার্কেটে মঙ্গলবার সূচক প্রায় তিন শতাংশের বেশি পড়ে গিয়েছে।

করোনাভাইরাসের নতুন করে সংক্রমণের নিরিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতিও খারাপ হচ্ছে। সিডিসির পক্ষ থেকে সম্প্রতি জানানো হয়েছে, সংক্রমণ সংখ্যায় এখনই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন না দেখা গেলেও আগামী দিনে বিপদ বাড়তে চলেছে বলেই আশঙ্কা। কারণ গত ১ থেকে ১০ মার্চের মধ্যে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করা বর্জ্য পানির নমুনা পরীক্ষা করে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে। ওই পানিতে পাওয়া গিয়েছে কোভিডের নমুনা। যদিও সেই সূত্রে আক্রান্তের সংখ্যা নির্ণয় করা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে এর থেকে অন্তত এটা পরিষ্কার যে আক্রান্ত আগের চেয়ে বেড়েছে।

Check Also

যত জঙ্গি ধরেছি, তাদের কেউ মাদ্রাসার ছাত্র নন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জঙ্গিবিরোধী অভিযানে যত জঙ্গি ধরেছি, তার মধ্যে কেউই মাদ্রাসার ছাত্র নন বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x