আব্দুর রশিদ, খুলনা :
ডুমুরিয়ার ঐতিয্যবাহী বিদ্যাপীঠ চুকনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত হয়েছে। শনিবার (১৫ আগষ্ট ২০২২) সকাল ৯ টায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিনতি কুন্ডু’র সভাপতিত্বে মেয়ারা রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাঙ্কন, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার দূরদর্শী চিন্তা চেতনায়র নেতৃত্বে একটি পরাধীন জাতি পায় স্বাধীনতার স্বাদ। বহু বছরের শোষণ-দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে তিনি গড়ে তোলেন সমৃদ্ধিশালী, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিরল নেতা। শেখ মুজিব আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, প্রজাপ্রেমী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন । যে মানুষটি কখনোই বাঙালিকে অবিশ্বাস করেননি, শত্রু ভাবেননি, সেই শুদ্ধ চিত্তের মানুষটিকেই কয়েকজন স্বার্থপর-ঘাতক সপরিবারে হত্যা করল- যা শুধু বাঙালির ইতিহাসেরই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও একটি কলঙ্কজনক ঘটনা বলে বিবেচিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধু একটি হত্যাকাণ্ডই নয়, একটি স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক জাতিকে পরাধীন ও সাম্প্রদায়িক করার পাশবিক চক্রান্তও বটে। যারা সাম্রাজ্যবাদী তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারী হতে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নকারী পর্যন্ত সবাই অপরাধী, সবাই দেশের শত্রু । বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর সমগ্র বাংলাদেশ থমকে গিয়েছিল। বজ্রাহত মানুষের মতো অসাড় হয়ে গিয়েছিল বাংলার শোকাহত মানুষ।
এসময় আরও উপস্হিত ছিলেন, সহঃ প্রধান শিক্ষক অপর্ণা কর্মকার , সহঃ শিক্ষক রেহেনা সুলতানা,সহকারী শিক্ষক জয়দেব নন্দী, সহকারী শিক্ষক শামিমা শিরিন মিলু, সহকারী শিক্ষক মোঃ হাফিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক মৌঝুরী চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক মোঃ আজিজুর রহমান, সহকারী শিক্ষক অজয় ব্রহ্ম, সহকারী শিক্ষক মিরানা ইসলাম, শরীফ উদ্দিন, বাসুদেব রায়, কবির হোসেন, প্রদীপ কুমার, নন্দিতা সিকদার। অফিস সহকারী রবিউল ইসলাম প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মঝে প্রধান শিক্ষক মিনতি কুন্ডু পুরষ্কার বিতরণ করেন ।