জাবি প্রতিনিধি-আসিবুল ইসলাম রিফাত
‘Which will cover every aspects of higher study’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি হায়ার স্টাডি ক্লাবের উদ্যোগে বিদেশে উচ্চশিক্ষার আদ্যোপান্ত নিয়ে “Higher Study 360° ” শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে দিনব্যাপী এ সেমিনার আয়োজিত হয়৷
সেমিনারে আলোচকরা বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন। জাবি থেকে এবছর বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়া ৩ শিক্ষার্থী, মোঃ আবু তালহা, জান্নাতুল মাওয়া লিজা, আজান রহমান খান যথাক্রমে প্রফেসরকে ইমেইল করা, ইরাসমাস মুন্ডাস স্কলারশিপ, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের জন্য আবেদন পদ্ধতি নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন।
এ বিষয়ে ইএমকে সেন্টার (EMK Center) এর এডুকেশন ইউএসএ কাউন্সেলর রেজোয়ান সিদ্দিকী তুহিন, এডুকেশন ইউএসএ আউটরিচ কো-অর্ডিনেটর রুহুল আমিন যথাক্রমে উচ্চ শিক্ষার আবেদন পদ্ধতি, ফান্ডিং পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনার শেষে এবছর বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাওয়া জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩জন শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এমন আয়োজন সম্পর্কে জাবি হায়ার স্টাডি ক্লাবের সভাপতি জান্নাতুল ফেরদৌস হৃদি জানান, ‘এ আয়োজনের মাধ্যমে আমরা শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি বার্তা পৌঁছে দিতে চাই, সেটি হলো বিদেশে উচ্চশিক্ষা মানেই দুঃসাধ্য বা কঠিন কিছু নয়। সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করলে বিদেশে উচ্চশিক্ষার পথ খুবই সহজ। এ বিষয়ে খুঁটিনাটি তথ্যগুলো যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানতে পারে সেটিই আমাদের এই আয়োজনের উদ্দেশ্য। এবছর শতাধিক শিক্ষার্থী বিদেশে আশা করি ক্লাবের এ ধরনের কার্যক্রমের মাধ্যমে এই সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাবে।’
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক বশির আহমেদ বলেন, ‘বিদেশে কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন থাকা মানে দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সেখানকার দ্বার উন্মোচিত হওয়া। বিদেশে কাজ করা বিজ্ঞানীরাই আমাদের দেশের জন্যে করোনা টিকা ম্যানেজ করে দিয়েছেন। এভাবে নিজের যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে দেশের স্বার্থে অনেক অবদান রাখা সম্ভব হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশে যাওয়ার আগে আমার একাডেমিক জ্ঞানের সাথে সাথে কিছু প্র্যাকটিকেল স্কিলও শিখে যাওয়া উচিত৷ গ্রাফিকস ডিজাইন, ল্যাংগুয়েজ, ড্রাইভিং এই স্কিলগুলো তোমাদের এগিয়ে দেবে। আমাদের তরুণরা যেভাবে আগাচ্ছে তাতে আমরা আগামী ২০ বছর পর আমরা পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাব। শুধু একটাই কথা আমাদের শিক্ষার্থীরা যেন হতাশ না হয়।’
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এ মামুন, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশনস সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহাদী হাসান প্রমুখ।