ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন লিজ ট্রাস। বিতর্কিত ‘মিনি-বাজেট’ নিয়ে চাপের মুখে মাত্র ৪৫ দিন প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন শেষে পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার ( ২০ অক্টোবর) ডাউনিং স্ট্রিটের বাইরে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বরিস জনজন পদত্যাগ করেন। এরপর কনজারভেটিভ পার্টির সদস্যরা তাদের দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ট্রাসকে দলীয় প্রধান বানান। এরপর নিয়ম অনুযায়ী দলীয় প্রধান হিসেবে তিনি প্রধানমন্ত্রী হন।
বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে পদত্যাগের ঘোষণা দেন ট্রাস। এরপর তিনি জানান আগামী সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টির জরুরি নির্বাচনের মাধ্যমে পরবর্তী নেতা ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করা হবে।
প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কে হবেন নতুন নেতা? এর মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ক্রিস্পিন ব্লান্ট বর্তমান অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টকে নেতা ও প্রধানমন্ত্রী করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
তাছাড়া ঋসি সুনাকের নামও শোনা যাচ্ছে। এমনকি বলা হচ্ছে বরিস জনসনকেও ফেরানো হতে পারে। তাছাড়া বুধবার পদত্যাগ করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলাও নেতৃত্ব পাওয়ার তালিকায় আছেন।
এর আগে ডেইলি মেইল জানিয়েছিল, প্রধানমন্ত্রিত্ব বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলেন লিজ ট্রাস। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার কনজারভেটিভ পার্টির নীতি নির্ধারণী ১৯৯২ কমিটির প্রধানের সঙ্গে নিজের সরকারি দপ্তরে বৈঠকে বসেছিলেন ট্রাস।
লিজ ট্রাস গত ৬ সেপ্টেম্বর যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের পদত্যাগ চেয়ে আসছিলেন তার নিজ দলেরই অধিকাংশ সদস্য। এতে প্রধানমন্ত্রী পদে থাকা নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়।
এর আগে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান স্থানীয় সময় বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকেলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে পদ ছাড়েন।