ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় আবারও ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার ( ২৬ মে) বেলা ১২টার দিকে কার্জন হল ও দোয়েল চত্বরের মাঝের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসাবে হাই কোর্ট এলাকা থেকে মিছিল বের করেন। এরপর দোয়েল চত্বর অভিমুখে গেলে সংঘর্ষ বেধে যায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ফের হাই কোর্টের ভেতরে অবস্থান নেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল শাখার আহ্বায়ক আমানুল্লাহ আমান জানান, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে লাঠিসোঁটা, রড, পাইপ, রামদা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে তারা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আমিসহ অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি। আমরা ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের এই ন্যাক্কারজনক হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।’
এদিন সকাল থেকেই ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা, রড, পাইড, স্ট্যাম্প হাতে দোয়েল চত্বর, টিএসসি, শহিদ মিনারসহ ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রবেশমুখে মহড়া দিতে দেখা যায়। পরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস এলাকায় গেলে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, শহীদ মিনার ও দোয়েল চত্বরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হামলায় ছাত্রদলের অর্ধশথ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে দাবি করছে সংগঠনটি।
অপরদিকে ছাত্রলীগের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিহত করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘শৃঙ্খলা’ ও ‘সম্পদ’ নষ্টের দায়ে অজ্ঞাতনামা তিন থেকে চারশ জনকে আসামি করে শাহবাগ থানা মামলা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এদিকে ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গত কয়েক দিনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় আজকেও (বৃহস্পতিবার) তারা দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র ও বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বস্ফূর্তভাবে তাদের প্রতিহত করেছে।’
রমনা জোনের ডিসি সাজ্জাদুর রহমান জানান, হাইকোর্ট এলাকায় দুটি ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।