তাইওয়ানকে ঘিরে আকাশ ও সমুদ্রে নতুন করে সামরিক মহড়ার ঘোষণা দিয়েছে চীনের সামরিক বাহিনী। যদিও একদিন আগেই এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মহড়াটি শেষ করেছে বেইজিং।
সোমবার (৮ আগস্ট) চীনের ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে, ডুবোজাহাজ বিধ্বংসী তৎপরতা ও সামুদ্রিক হামলায় বেশি জোর দেয়া হচ্ছে এবারের মহড়ায়।
নতুন করে শুরু হওয়া এই মহড়ার স্থায়িত্ব ও স্থানের কথা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করেনি চীন। কিন্তু দ্বীপটির চারপাশে চীনের আগের মহড়ার ছয়টি স্থানে ফ্লাইট পরিচালনার ওপর আরোপ করা বিধিনিষেধ শিথিল করেছে বেইজিং।
বিশ্লেষকদের দাবি, এর মধ্য দিয়ে হয়তো তাইওয়ানকে দীর্ঘদিনের জন্য অবরুদ্ধ করতে চাইছে চীন। কারণ এই মহড়ার কোনো সময়সীমা ঘোষণা করা হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তাইওয়ানকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সরাসরি সামরিক অভিযান না চালিয়ে বরং এভাবে টানা মহড়া চালিয়ে যেতে পারে চীন। এর মাধ্যমে তাইওয়ানকে বহির্বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতিতে ফেলে দিতে পারবে চীন।
তাইওয়ানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চীনের এই পদক্ষেপের নিন্দা করে বলেছে, চীন ইচ্ছাকৃতভাবে সংকট তৈরি করছে। তাইওয়ান চীনকে এই সামরিক পদক্ষেপ বন্ধ করে তাদের জলসীমা থেকে ফিরে যাওয়ার আহবান জানিয়েছে।
স্বশাসিত তাইওয়ানে গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্টের প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সফরের পর গত বৃহস্পতিবার চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ইতিহাসের সবচেয়ে মহড়া শুরু করে। মহড়ায় যুদ্ধজাহাজ, যুদ্ধবিমান, এমনকি ক্ষেপণাস্ত্র পর্যন্ত ব্যবহার করেছে চীন। গতকাল রবিবার সেই মহড়া শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চীন আনুষ্ঠানিকভাবে মহড়া শেষ করার ঘোষণা না দিয়েই নতুন করে এই মহড়া শুরু করেছে।