মোঃ জিলহাজ বাবু ,চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
চাঁপাইনবাবগঞ্জে চাঁদাদাবির অভিযোগে এসএম রুবেল নামে এক কথিত সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করেছে সদর মডেল থানা পুলিশ। শুক্রবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত রুবেল দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।গ্রেফতারকৃত রুবেল এর একাধিক কার্ড আছে, সে কখনো “বিবিসি বাংলা ” , “সনি টিভি” “মুভি বাংলা টিভি ” এগুলোর জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতেন বলে জানা গেছে। রুবেল এর কাছে বিবিসি বাংলা সহ বিভিন্ন চ্যানেল এর বুম রয়েছে , ওর সাথে নতুন কিছু অনলাইন সাংবাদিক সহযোগী হিসেবে কাজ করে, তারা বিভিন্ন যায়গায় চাঁদাবাজির টাকা ভাগ নিয়ে ঝামেলাও করে বলে জানা যাই। এরকম আরো কয়েকজন কথিত সাংবাদিক রয়েছে যাদের কাজই হচ্ছে মোটরসাইকেল বা কেউ কেউ কার বা মাইক্রোতে লোগো লাগিয়ে প্রশাসন, পুলিশ, র্যাব, ভোক্তা অধিকারসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের নাম বলে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, ঠিকাদার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইউ পি মেম্বার, কোথায় পুকুর খনন করছেসহ বিভিন্ন মানুষকে মিথ্যা কথা বলে হয়রানি করা।
এক মাস আগে পৌর এলাকার হরিপুর পাওয়ার হাউস মোড়ের সাদিকুল ইসলামের ছেলের বাল্যবিয়ে হয়। বিষয়টি জানার পর কথিত সাংবাদিক এসএম রুবেল সাদিকুল ইসলামের কাছে চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদা না পেয়ে প্রশাসনকে তথ্য দেয়। তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার সাদিকুল ইসলামকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন শরিফ এই জরিমানা আদায় করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গত এক মাস আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সাদিকুল ইসলামের ছেলে আজিম আলী (১৭) ও রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার ফরিদপুরে এনতাজুল হকের ১৪ বছর বয়সী মেয়ে জান্নাতুন খাতুনের। শুক্রবার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাদিকুল ইসলামকে জরিমানা করা হয়। এসময় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাদাবি করায় আটক করা হয় এসএম রুবেল নামের ওই কথিত সাংবাদিককে।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমিন শরিফ বলেন, এসএম রুবেল নামের একজন কথিত সাংবাদিক আমাদেরকে তথ্য দেন, গত একমাস আগে একটি বাল্যবিয়ে হয়েছে এবং আজকে অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সরেজমিনে গিয়ে বাল্যবিয়ে হয়েছে এটার প্রমাণ পাওয়া গেলেও অনুষ্ঠান আয়োজনের তথ্যটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। পরে বরের বাবার কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় রুবেলের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাদাবির অভিযোগ করেন সাদিকুল ইসলাম।
মো. রুহুল আমিন শরিফ আরও বলেন, জরিমানা আদায়ের সময় সাদিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন, তার কাছে কথিত সাংবাদিক এসএম রুবেল চাঁদা চেয়েছিল। চাঁদা না পেয়ে প্রশাসনকে তথ্য দিয়েছেন। পরে সাদিকুল ইসলাম কথিত সাংবাদিক এসএম রুবেলের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর মডেল থানার ওসির সাথে পরামর্শ করে তাকে আটক করে থানায় প্রেরণ করা হয়। পুলিশ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ বিষয়ে সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর জানান, এসএম রুবেলর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে