কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আতাউর রহমান দাবি করেছেন, রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য দুদকে স্ত্রীসহ তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে দুদকের নোটিশের বরাত দিয়ে আতাউর রহমান বলেন, আমার নামে হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি ও স্ত্রীর নামে শত কোটি টাকার সম্পত্তির যে অভিযোগ দুদকে দেয়া হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একটি কুচক্রি মহল আমাকে হেয় করে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য এটা করেছে। নিয়মানুসারে ওই অভিযোগের বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি সরবরাহের জন্য দুদকের পাঠানো চিঠি পেয়ে আমি নির্ধারিত সময়ে তার জবাবও দিয়েছি।
তিনি বলেন, আমার ২৭ বছর ব্যবসায়িক জীবনে ও আমার স্ত্রীর চাকরি জীবনে অর্জিত অর্থ ও সম্পদের মূল্য হাজার কোটি তো দূরে থাক, ১২ কোটি টাকার হিসেবেও মিলবে না। আমার ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক জীবনে এ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কোনো মামলা, জিডি এমনকি কোনো অভিযোগেরও নজির নেই।
তিনি আরো বলেন, শহরের হাউজিং এলাকায় ডি ব্লকে ৫ কাঠার দুইটি প্লট ক্রয় করে সেখানে ১০ তলা ভবন নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ১০ তলা নয়, ৭ তলা ভবন যা নির্মাণাধীন এবং প্রদর্শিত। আর প্লট দুইটি যথাক্রমে ৩.৫ কাঠা ও ৩.৫ কাঠা, সর্বমোট ৭ কাঠা। ভেড়ামারা সাতবাড়িয়া মৌজায় ৫ কাঠার একটি প্লট আছে, যা প্রদর্শিত। ঢাকা উত্তর খান এলাকায় ৫ কাঠা জমির উপর ১০ তলা নির্মাণাধীন ভবনের বিষয়ে অসত্য তথ্য প্রদান করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ঢাকার উত্তরখানে আমার ৬ কাঠার একটি প্লট আছে, যা প্রদর্শিত। ভেড়ামারায় ২৫ বিঘা জমির উপর বাগান, ৯০ লাখ টাকার মুল্যে ২৪ শতক জমি, আর শত কোটি টাকায় ১০টি জমির তথ্য মনগড়া এবং ভিত্তিহীন।
আতাউর রহমান বলেন,পাংশায় আমাদের নামে ব্যাংক হিসাব সংক্রান্ত তথ্য সম্পূর্ণরূপে বানোয়াট ও মিথ্যা। খুলনায় দাকোপে এবং পটুয়াখালীতে দুইশ বিঘা জমিতে মাছের ঘেরের কথা বলা হয়েছে এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় জমি, নগদ অর্থসহ বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার বাস্তবে কোনো অস্তিত্ব নেই। আমরা পুরো পরিবার একটি গাড়ি ব্যবহার করি, যা ব্যাংকের নিকট দায়বদ্ধ এবং প্রদর্শিত।
আতাউর রহমান বলেন, আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমার ব্যবসায়িক জীবনে ও আমার স্ত্রীর চাকরি জীবনে অর্জিত, উপার্জিত সব সম্পদ ও অর্থ বৈধ; প্রদর্শিত এবং প্রকাশিত। রাজনৈতিকভাবে হেয় করার অভিপ্রায়ে উত্থাপিত অভিযোগের আলোকে দুদক আমার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে তাতে আমি পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। কিন্তু তদন্তের পূর্বেই যেভাবে আমাকে দোষী সাব্যস্ত করা হচ্ছে তাতে আমার পারিবারিক, সামাজিক এবং রাজনৈতিক জীবন চরম ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। যা একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারকে ক্ষুন্ন করার সামিল এবং একই সাথে সঠিক তদন্তকার্যে বাঁধা সৃষ্টি করতে পারে বলে আমি মনে করি।
সূত্র-বাংলাদেশ জার্নাল