শুভ চক্রবর্ত্তী, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ড্রাগন ফল চাষ করে সফলতার মুখ দেখছেন চাষীরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায় এ বছর নবীনগর উপজেলার প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে ড্রাগন ফল চাষ হচ্ছে।
উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলি আজ্জম সরকার শখের বসে ড্রাগন ফল চাষ করে তিনি আজ সফল ।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, মোহাম্মদ আলি আজ্জম সরকার ইব্রাহিমপুর গ্রামে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত প্রায় ৬ বিঘা জমিতে ২০২১ সালে থেকে ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করেন। ৮০০ খুঁটিতে তিনি প্রায় ৩২০০ চাড়া রুপন করেন। চারা রোপণের এক থেকে দেড় বছরের মাথায় গাছে ফল আসে। সম্প্রতি তার বাগান থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ কেজি ড্রাগন ফল বিক্রি করতে পারছেন। তার সফলতার খবর শুনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন এসে ড্রাগনের চাষপদ্ধতি জেনে নিয়ে চাষ শুরু করছেন।
নবীনগর উপজেলা সদর পৌর এলাকার একাধিক কৃষক ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করছেন। তারা জানান, ড্রাগন চাষে ঝুঁকি কম। বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা ও দাম বেশি হওয়ার তারাও এ ফল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। কৃষি ব্যাংক, বিভিন্ন এনজিও সংস্থা ড্রাগন চাষের জন্য সহজ শর্তে ঋণের ব্যবস্থা করলে অন্য চাষিরা ড্রাগন চাষে আগ্রহী হবেন ।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জগলুল হায়দার জানান , ড্রাগন গাছ দক্ষিণ আমেরিকার জঙ্গলে জন্ম নেওয়া লতানো ক্যাকটাস জাতীয় ফলের গাছ। বর্তমানে থাইল্যান্ড, চীন, মালয়েশিয়া, ভারত ও বাংলাদেশে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। নবীনগরের মাটি ও আবহাওয়া ড্রাগন চাষের উপযোগী। এই ফল চাষে আগ্রহী চাষীদের সঠিক পরামর্শ ও সহযোগিতার চেষ্টা করি। নবীনগর উপজেলার ইব্রাহীমপুর, শ্যামগ্রাম, রছুল্লাবাদ, বড়াইলসহ পৌর এলাকার প্রায় ১০ হেক্টর জমিতে এই বছর ড্রাগন চাষ হচ্ছে। ধারনা করা যাচ্ছে এ বছর প্রায় লক্ষাদিক টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি হবে।