গত বুধবার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার লড়াইয়ে বাজে যুদ্ধের দামামা। ব্রাজিলের মারাকানা স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে সমর্থকদের সহিংস আচরণ, তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশের লাঠিচার্জও হয়। আর মাঠেও যুদ্ধাংদেহী ছিল ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়রা, ২৬টি ফাউল করেন তারা। এসব ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (ফিফা)। ধারণা করা হচ্ছে, তদন্ত শেষে কঠিন শাস্তির মুখে পড়তে পারে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ফুটবল দল।
এদিন মারাকানা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টায় ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে ম্যাচটি নির্ধারিত সময়ের ২৭ মিনিট পর মাঠে গড়ায়।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে ফিফা বলেছে, ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন (সিবিএফ) ও আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন (এএফএ)’র বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা কমিটি তাদের প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
ফিফা জানিয়েছে, ব্রাজিল ‘অনুচ্ছেদ ১৭’ এর সম্ভাব্য বিধি লঙ্ঘন করেছে। যা ম্যাচের সময় শৃঙ্খলা রক্ষা এবং নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। যদি এটি প্রমাণিত হয় তাহলে শাস্তি পেতে হবে ব্রাজিলকে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা দর্শকদের উত্যক্ত করা ও দেরিতে খেলা শুরু করায় ফিফার শৃঙ্খলাবিধির ১৭.২ ও ১৪.৫ লঙ্ঘণ করেছে। তাই প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তির ঘোষণা করা হবে।
শাস্তি স্বরূপ দু’দলই আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে সীমিত কিংবা পুরোপুরি দর্শকশূন্য মাঠে খেলা আয়োজন করার সাজা পেতে পারে।
উল্লেখ্য, তবে দুই দলের মারমুখী ভঙ্গি, রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে আর্জেন্টিনা মাঠ ছাড়ে ১-০ গোলের জয় নিয়ে। কিন্তু আলোচনার কেন্দ্রে গ্যালারির সেই ঘটনা। মাঠে উভয় দলের খেলোয়াড়রা মিলে ৪২টি ফাউল করেন। যার ২৬টি করে ব্রাজিল ও ১৬টি করে আর্জেন্টিনা। ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলের জোয়াল্টিনকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে দক্ষিণ আমেরিকান অঞ্চল থেকে ৬ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে টানা তিন হারে ব্রাজিলের অবস্থান ছয়ে।