বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
আমাদের ক্যাম্পাস জীবন ছিলো অত্যন্ত স্মৃতিময়। রঙিন সেই দিন গুলো এখনো বার বার মনে পড়ে। দীর্ঘদিন পর এ বনভোজনে আমরা ১১ জন বন্ধু মিলিত হয়েছি। আজ আবারো সেই স্মৃতি রোমন্থিত হচ্ছে৷ এভাবেই অনুভূতি ব্যক্ত করছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের ১৯৯৭-৯৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মুজিবুর রহমান।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশন আয়োজিত ২৪ তম বার্ষিক বনভোজনে এসেছিলেন তারা। শনিবার কুমিল্লার ম্যাজিক প্যারাডাইস রিসোর্টে এ বনভোজনের আয়োজন করা হয়। বনভোজনে উপস্থিত ছিলেন এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. শাহ মঞ্জুরুল হক, বঙ্গবন্ধু পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য জালাল উদ্দীন তুহিন, এএনএইচ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম.হানিফ টলিন সহ সাবেক বর্তমান প্রায় ৬০০ শিক্ষার্থী।
বনভোজনে আগত আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নূরুল হুদা আনসারী বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের অত্যন্ত আবেগের স্থান। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় জীবন শেষ করলেও এ মিলন মেলায় আমাদের পুরাতন বন্ধু-বান্ধব সহ সবার সাথে সাক্ষাৎ অন্যরকম আনন্দ দেয়।
প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সন্তানরাও অংশ নিয়েছিলেন এ আয়োজনে। নাভিদ আহমেদ নামে এমনই একজন বলেন, আমার বাবা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন। এখানে আসতে আমার খুবই ভালো লাগছে।
বনভোজনের পাশাপাশি আয়োজন করা হয় পিলো পাসিং, র্যাফেল ড্র, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানান আয়োজন করা হয়।
সমাপনী অনুষ্ঠানে এ্যাড. শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই এসোসিয়েশন প্রায় প্রতিবছরই এ আয়োজনটি করার চেষ্টা করে এবং আগামীতেও এ ধরনের আয়োজন করার চেষ্টা করবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি এ্যালামনাই ভবন ও নিয়মিতভাবে জব ফেয়ার সহ বিভিন্ন আয়োজনের ঘোষণা দেন তিনি।
সন্ধ্যায় গোধূলির সাথে সাথে কমে যেতে থাকে উচ্ছাস। বিদায় বেলায় সকলে আবারো একত্রিত হওয়ার প্রত্যয় নিয়ে বিদায় নেন সকলে।