আমেরিকা-রাশিয়া-ভারত কিংবা চীন সবার সাথেই বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো এবং এই সম্পর্ক দেশের সাথে দেশের স্বার্থের, কোন ব্যক্তি বা দলকেন্দ্রিক নয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সব দেশের সাথে সুসম্পর্ক রেখে চলেন। তার কাছে ব্যক্তি বা দলের স্বার্থের আগেও থাকে দেশ।
অন্যদিকে পাকিস্তানি জেনারেলরা তাদের নিরাপত্তা বাজেটের নাম করে আমেরিকার থেকে প্রতি বছর ১০ বিলিয়ন ডলার নেয়, সন্ত্রাস প্রতিরোধের নামে আসা এই বাজেটের সিংহভাগ তারা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়।
যেই কারণে পাকিস্তানের জেনারেলরা আসলে আমেরিকার রিমোট কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
যার ফলাফল পাকিস্তানে কোন সরকার আমেরিকার স্বার্থের বাইরে কোন কাজ করতে গেলেই তাদের বড় বড় নীতিনির্ধারকরা প্রবল চাপ সৃষ্টি করে পাকিস্তানের উপর – যার প্রমাণ ইমরান খানের কথায় পাওয়া যায়।
শ্রীলংকার প্রেসিডেন্ট ও ক্ষমতাসীনরা চীনের দেয়া বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিয়ে উন্নয়নের নাম করে নিজেদের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করেছেন – ফলাফল তারা প্রায় দেওলিয়া।
এবার তাকাই বাংলাদেশের দিকে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চীনের ঋণের প্রস্তাব আসুক, বা আমেরিকার ডিফেন্স খাতের প্রস্তাব – সবার আগে তিনি চিন্তা করেন দেশের স্বার্থ।
যেকারণে যতো শক্তিধর দেশই হোক না কেন তাদের সাথে যেকোনো চুক্তি করার আগে শেখ হাসিনা ভাবেন দেশের কথা, জনগণের কথা। কারণ জনগণের টাকায় সব উন্নয়ন কার্যক্রম হয় , চলে দেশের অর্থনীতি।
প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পরিবার সকল রকম সরকারী ব্যবসা কিংবা বিদেশী টাকায় নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির পায়তারা করেন না বলেই সব বড় বড় দেশ বাংলাদেশ নিয়ে কোন পরিকল্পনা করলেও অনেক চিন্তা করে করেন, কারণ তিনি শেখ হাসিনা, জাতির পিতার কন্যা।