বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ৬৫ বল আগেই জয় পেয়ে যায় লঙ্কানরা।
স্কোর: শ্রীলঙ্কা ১৬৫/৫ (৩৯ ওভার) , বাংলাদেশ ১৬৪/১০ (ওভার: ৪২.৪)
ফল: ৬৬ বল আগে শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেটে জয়
ব্যাটিংয়ে লড়তে পারলেন না কেউই। কেবল নাজমুল হোসেন শান্ত চেষ্টা করলেন একা। দল পায়নি ভালো পুঁজি। শুরুতে উইকেট নিয়ে কিছুটা আশা জুগিয়েছিলেন বোলাররা। কিন্তু শেষ অবধি আর আটকে রাখা যায়নি শ্রীলঙ্কাকে। বড় স্বপ্ন নিয়ে এশিয়া কাপ খেলতে গিয়ে হতাশার হারে শুরু হয়েছে টুর্নামেন্ট।
বাংলাদেশকে হারিয়ে একটি রেকর্ডও নিজেদের করে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশকে হারানোর মধ্যে নিয়ে লঙ্কানরা জিতলো টানা ১১টি ওয়ানডে। এই হারে সুপার ফোরে যাওয়ার পথটা কঠিন হয়ে গেল বাংলাদেশের। লাহোরে পরের ম্যাচের আফগানিস্তানকে হারানোর এখন বিকল্প নেই আর।
১৬৪ রানের পুঁজি নিয়ে বল করতে এসে লঙ্কান ওপেনার দিমুথ করুনারত্নকে বোল্ড করলেন তাসকিন আহমেদ। ৩ বলে ১ রান করেন তিনি। নিজের প্রথম ওভারে ৯ রান দিলেও শরিফুল দ্বিতীয় ওভারে দলকে সাফল্যে ভাসালেন। মুশফিককে ক্যাচ দিয়ে শরিফুলের বলে উইকেট হারান পাথুম নিশাঙ্কা। ১ চারে ১৩ বলে ১৪ রান করে ফিরলেন নিশাঙ্কা। ১৫ রান তুলতেই দুই উইকেট খুইয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান শিবিরে এরপর আঘাত হানেন সাকিব আল হাসান। নড়বড়ে কুশল মেন্ডিসকে বোল্ড করেন তিনি। ২১ বলে ৫ রানে আউট হন মেন্ডিস।
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে প্রতিরোধ গড়ছিল শ্রীলঙ্কা। চারিথা আশালঙ্কা ও সাদিরা সামারাবিক্রমার জুটিতে উঠে ৭৮ রান। দলীয় ১২৮ রানে সামারাবিক্রমাকে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন মাহেদী। ৫৪ রানে থামেন সামারাবিক্রমা। এর পরের ওভারেই সাকিবের আঘাত। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার(২) স্ট্যাম্প উড়িয়ে দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক।
এরপর দলনেতা দাসুন শানাকাকে নিয়ে জয় নিশ্চিত করেন চারিথ আশালাঙ্কা। মাঠ ছাড়ার আগে ফিফটি পূরণ করেন তিনি। অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। আর শানাকা মাঠ ছাড়েন ১৪ রানে। বাংলাদেশের হয়ে দুইটি উইকেট নেন সাকিব। ১টি করে নেন তাসকিন, শরিফুল ও মাহেদী।
বাংলাদেশ একাদশ: নাঈম শেখ, তানজিদ তামিম, নাজমুল শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মেহেদি মিরাজ, শেখ মাহেদী, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কার একাদশ: দিমুথ করুনারত্নে, পাথুন নিশাঙ্কা, কুশল মেন্ডিস, সাদিরা সামারাবিক্রমা, চারিথা আশালঙ্কা, ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা, দাশুন শানাকা, দুনিথ ওয়াল্লালাগে, মহেশ থিকসানা, কাসুন রাজিথা, মাথিসা পাথিরানা।