চাইথোয়াইমং মারমা
রাঙ্গামাটি জেলা -প্রতিনিধি- রাজস্থলী উপজেলা ৩নং বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের নানা আয়োজনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
১৫ আগস্ট (সোমবার )দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সকালে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ৩নং বাঃহাঃইউপি কার্যালয়ে শোক আলোচনা সভা করা হয়।
পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদের সদস্য নিউচিং মারমা। সভাপতিত্বে করেন ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা আরো উপস্থিত সহ-সভাপতি পুলক বড়ুয়া প্রচার সম্পাদক সুইক্যচিং মারমা কারবারী আইনবিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম জেলা স্বেচ্ছা সেবকলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক সুইথুইমং মারমা, ইউপি শাখা আওয়ামীলীগ (ভাঃ) সভাপতি থোয়াইসুইমং মারমা প্রবীন নেতা মংহলাঅং মাষ্টার, সহ যুবলীগ, কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষকলীগ ও মহিলালীগ উপজেলা , বীর মুক্তিযোদ্বা, বিভিন্ন পেশাজীবি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্র – ছাত্রী ।
অন্যদিকে, উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে নিজ দলীয় কার্যালয়ে হতে একটি র্যালী বের করে বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে এসে শেষ করে।
অনুষ্ঠানে সঞ্চলনায় ছিলেন ইউপি শাখা আওয়ামী লীগের ভাঃ সম্পাদক মংউ মারমা মেম্বার। এ আয়োজন ৩নং বাঃহাঃ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিজ অর্থায়নের গরু ছাগল মাংস দুপুরে খাবার ব্যবস্থা এলাকাবাসী পাহাড়ি ও বাঙ্গালীদেরকে প্রায় ২ হাজার লোক কে খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
বক্তারা বঙ্গবন্ধু শাহাদত বার্ষিকীতে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে ভোর রাতে জাতির পিতাকে স্ব পরিবারে হত্যাকে একটি নাক্ক্যরজনক ও বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড বলে আখ্যা দেন। তাই পালিয়ে থাকা আসামীদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় এনে ফাঁসি দাবি জানান।
পৃথিবীর এই জগন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেনি বঙ্গবন্ধু অনুজ শেখ নাসের,ভগ্নিপতি আব্দুর রউফ সেরনিয়াবাত,তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবী ও সুকান্তবাবু,ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজরুল হক মণি ও তার অন্তরসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান,রিন্টু ও কর্ণেল জামিল সহ ১৬ জন সদস্য ও ঘনিষ্ঠ জন।এসময় ২ কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা বিদেশে থাকায় প্রাণে রক্ষা পান।