মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
বান্দরবান শৈল প্রভাত মহিলা সমিতি(এসপিএম এস), জয় একতা মহিলা কল্যাণ সমিতি, পিস মহিলা কল্যাণ সংগঠন, লেমুঝিরি আগাপাড়া মহিলা সমিতি গুংগুরু পাড়া উপজাতি মহিলা উন্নয়ন সংস্থা এর যৌথ আয়োজনে বান্দরবানে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ (২৫ নভেম্বর হতে ১০ডিসেম্বর)-২০২২ উদযাপন উপলক্ষে নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ে আলোচনা সভা ও সমিতির উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনীর অনুষ্ঠান ৬ডিসেম্বর বান্দরবান রয়েল হোটেলের হল রুমে অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুরাইয়া আক্তার সুইটি। বান্দরবান শৈল প্রভাত মহিলা সমিতি (এসপিএম এস), এর সত্ত্বাধিকারী রুপালী বড়ুয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আতিয়া চৌধুরী,উম্মে সাথী’সহ নারী নেত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সমিতির উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনী গুলো ঘুরে দেখেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সুরাইয়া আক্তার সুইটি। নারীদের অংশ গ্রহণে সমিতির উৎপাদিত পণ্যের প্রদর্শনীতে বিভিন্ন সমিতির নারী ও কিশোরীরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি কে উত্তরীয় পরিয়ে ও উপহার প্রদান করে বিশেষ সম্মাননা প্রদর্শন করা হয়।
বান্দরবান শৈল প্রভাত মহিলা সমিতি ২০০৪ ইং সাল থেকে বিভিন্ন ভাবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দারিদ্র্যতার হাত থেকে মুক্তি দেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে কাজ করে আসছে। আত্ম-কর্মস্থান ও উল্লেখযোগ্য অবদান, যথাক্রমে দেশের বেকারত্ব দূরীকরণ, স্যানিটারী ল্যাট্রিন ব্যবহারে নিশ্চিত করণ,নাটক,ইভটিজিং প্রতিরোধ, বাল্য বিবাহ রোধ, বসতবাড়ির আঙ্গিনা চাষাবাদ, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, সমাজের অবহেলিত নারী জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আত্নকর্মে নিয়োজিত করা, বিভিন্ন দূর্যোগে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান, কন্যাদায় গ্রস্থ পিতাদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান, বিভিন্ন সিম্পোজিয়াম, সেমিনার আয়োজন, জনগণের মাঝে আর্থ- সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করণ,উন্নয়ন মূলক প্রশিক্ষণ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণে বেকার যুবক যুবতীদের অংশ গ্রহণ নিশ্চিত করণ।
বান্দরবান শৈল প্রভাত মহিলা সমিতি ২০০৪ থেকে ২০১৬ বিভিন্ন সদস্যদের মাঝে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিপদকালীন সময়ে যেমন জ্বলোচ্ছাস, অগ্নিকান্ড,ঘূর্ণিঝড় বিধস্তদের মাঝে শাড়ি, কলসি, বালতি, বস্ত্র, কম্বল, লুঙ্গি,থামি, নগদ টাকা সহ বিভিন্ন সময়ে শৈল প্রভাত মহিলা সমিতি বিভিন্ন সেবা দিয়ে আসছে। বর্তমান দেশের আপামর জনগোষ্ঠীকে সরকারের পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে প্রায় ৭০জন যুব মহিলা কে নিয়ে একটি মোমবাতি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দারিদ্র্য মুক্ত ও বেকারত্ব দূরীকরণের জন্য যাদের সম্মানি বাবদ প্রতিমাসে তাদের উৎপাদিত পণ্যের উপর প্রতি জনের প্রায় ৯হাজার টাকা করে আয় পাচ্ছে। উক্ত প্রতিষ্ঠান আমার পাশাপাশি সরকার যদি আমাকে সার্বিক সহায়তা প্রদান করেন তাহলে আরো বেকারত্ব নারীকে কর্মসংস্থান করে দেওয়া সম্ভব হবে।