ঢাকা , সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
২৩৭ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক আজ দেবিদ্বারে লরির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নাজমুলের মৃ*ত্যু দেশে এখন ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৭৬ লাখ দীঘিনালায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ১ লাখ টাকা জরিমানা কাপ্তাইয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সম-অধিকার আন্দোলনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পরিবেশের ক্ষতি না করে সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা তৈরির আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ‘শাপলা কলি’ প্রতীক নিতেই রাজি এনসিপি দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনতে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়ন অপরিহার্য: মিয়া নূরউদ্দিন আহাম্মেদ অপু নির্বাচনের তফসিল কবে, জানালেন ইসি আনোয়ারুল

বান্দরবানে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা

সাংবাদিক

মুহাম্মদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার।।

বান্দরবান জেলায় পাসের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবারও জেলায় সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ৪২ জন। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪৮ জন পাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এতথ্য জানান।
জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, এ বছর এসএসসি, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগ মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ৯৬৮ জন। পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬০.২৮ শতাংশ, যা গত বছরের ৭২.৭৫ শতাংশ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ কম।
তবে আশার কথা হচ্ছে, এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৯ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি (২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০০ জন)।
স্কুলভিত্তিক এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪ হাজার ১ শত ৬৯ জন শিক্ষার্থীর। উত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ৪শত ৬৯ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৪ জন। এবার স্কুলের পাসের হার ৫৯ দশমিক ২২ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় চেয়ে ২.৫ শতাংশ কমেছে।
মাদ্রাসা ভিত্তিক এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে ৩০৯ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। যার পাশের হার ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ। যা গত বছরে তুলনায় পাশের হার কমেছে ১০ শতাংশ।
কারিগরি শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩১৫ জন, উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯০জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। যা পাশের হার ছিল ৬০ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছরে তুলানায় পাশের হার কমেছে ১৭শতাংশ।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন“গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার অনেক কম। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। অভিভাবকরা সন্তানের পড়ালেখার প্রতি নজরদারি করছেন না, মোবাইল ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে সরে যাচ্ছে। এছাড়া, দুর্গম এলাকায় শিক্ষকের সংকটও অন্যতম কারণ।”
তিনি আরও বলেন,“শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষকদেরও পাঠদানে আরও মনোযোগী হতে হবে। তবেই পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নতি আসবে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৭:৫৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
৬০৩ Time View

বান্দরবানে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা

আপডেটের সময় : ০৭:৫৪:১৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

মুহাম্মদ আলী, স্টাফ রিপোর্টার।।

বান্দরবান জেলায় পাসের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা। এবারও জেলায় সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ পেয়েছে ক্যান্ট. পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ৪২ জন। এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১৫৩ জন পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪৮ জন পাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরে বান্দরবান জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এতথ্য জানান।
জেলা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, এ বছর এসএসসি, মাদ্রাসা ও কারিগরি বিভাগ মিলিয়ে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৪ হাজার ৯২৩ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ৯৬৮ জন। পাসের হার দাঁড়িয়েছে ৬০.২৮ শতাংশ, যা গত বছরের ৭২.৭৫ শতাংশ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ কম।
তবে আশার কথা হচ্ছে, এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৯ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় ৩৯ শতাংশ বেশি (২০২৪ সালে জিপিএ-৫ পেয়েছিল ১০০ জন)।
স্কুলভিত্তিক এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪ হাজার ১ শত ৬৯ জন শিক্ষার্থীর। উত্তীর্ণ হয়েছে ২ হাজার ৪শত ৬৯ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৪ জন। এবার স্কুলের পাসের হার ৫৯ দশমিক ২২ শতাংশ। যা গত বছরের তুলনায় চেয়ে ২.৫ শতাংশ কমেছে।
মাদ্রাসা ভিত্তিক এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে ৪৩৯ জন উত্তীর্ণ হয়েছে ৩০৯ জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন। যার পাশের হার ৭০ দশমিক ৮ শতাংশ। যা গত বছরে তুলনায় পাশের হার কমেছে ১০ শতাংশ।
কারিগরি শিক্ষা বিভাগের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৩১৫ জন, উত্তীর্ণ হয়েছে ১৯০জন ও জিপিএ-৫ পেয়েছে ২ জন। যা পাশের হার ছিল ৬০ দশমিক ৩১ শতাংশ। গত বছরে তুলানায় পাশের হার কমেছে ১৭শতাংশ।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সালেহ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন“গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার অনেক কম। তবে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে। অভিভাবকরা সন্তানের পড়ালেখার প্রতি নজরদারি করছেন না, মোবাইল ব্যবহারের কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা থেকে সরে যাচ্ছে। এছাড়া, দুর্গম এলাকায় শিক্ষকের সংকটও অন্যতম কারণ।”
তিনি আরও বলেন,“শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষকদেরও পাঠদানে আরও মনোযোগী হতে হবে। তবেই পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থায় উন্নতি আসবে।