রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে সকাল থেকেই নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। গত রাত থেকেই সেখানে নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। সকাল হওয়ার সাথে সাথে উপস্থিতি বাড়তে থাকে। শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার ১ দফা দাবিতে মহাসমাবেশ করছে বিএনপি।
শুক্রবার বেলা ২টায় দলটির নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সড়কে এ মহাসমাবেশ শুরু হবে। ইতোমধ্যে নয়টি ট্রাক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মঞ্চ।
সরজমিনে দেখা যায়, নয়াপল্টনের ভিআইপি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। বিজয়নগর, নাইটেঙ্গল মোড়, কাকরাইল, মংস্য ভবন, ফকিরাপুলে এলাকায় বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা অবস্থান করছে। খন্ড খন্ড মিছিল করছে বিভিন্ন ইউনিট ও ঢাকার বাইরে থেকে আগত নেতাকর্মীরা। মঞ্চে প্রতিবাদী ও দলীয় সঙ্গিত পরিবেশন করা হচ্ছে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সভাপতিত্ব করবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বিএনপির মহাসমাবেশের পাশাপাশি শান্তি সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগের দুই সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও যুবলীগ এবং ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠন ছাত্রলীগ। একই দিনে বিকেল ৩টায় যৌথভাবে ‘শান্তি সমাবেশ’ করবে। বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে এই সমাবেশ আয়োজনের অনুমতি দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ঢাকায় বড় দুই দলের সমাবেশ কেন্দ্র করে সর্তক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতাযেন করা হয়েছে।
উল্লেখ, এর আগে ২২ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশ থেকে ২৭ জুলাই রাজধনীতে মহসমাবেশের ঘোষণা দেন দলটি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। মহসমাবেশের জন্য নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালযের সামনে বা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি চায় বিএনপি। তবে ডিএমপি থেকে রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে করার পরামর্শ দেন। এরপরই মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মহাসমাবেশ একদিন পিছানোর ঘোষণা দেয় বিএনপি।