ঢাকা , শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কাপ্তাইয়ে বিকেএসপি আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন মোবাইলে অশোভন বার্তা পাঠালে ২ বছরের দণ্ড ও দেড় কোটি টাকা জরিমানা অধিনায়ক হয়েই দুঃসংবাদ পেলেন আফ্রিদি রাণীশংকৈলে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ! ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য জাহিদুর রহমান। নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও ভালো হবে: সেনাবাহিনী মহালছড়িতে বাজারে ভয়াবহ আগুন, ১৪ দোকান পুড়ে ছাই বনপাড়া সেন্ট যোসেফস্ স্কুল এন্ড কলেজে অনুষ্ঠিত হলো বর্ণাঢ্য বার্ষিক শিক্ষা–সাহিত্য ও বিজ্ঞান মেলা এবং বিতর্ক ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা কাপ্তাইয়ে “সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও গুজব প্রতিরোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা” শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রামগঞ্জে এসবিএসি ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক

সাংবাদিক

তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাকে বলেছেন—দেশে থাকো, দেশের মানুষের সেবা করো। তাই আমি তার নির্দেশই পালন করছি।”

মঙ্গলবার রাতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় এম এ মালিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাঁর প্রয়াত মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল নিজ গ্রামের কবরস্থানে বাবার পাশে দাফন হওয়ার, কিন্তু বিগত সরকারের সময় পাসপোর্ট আটকে দেওয়ার কারণে তিনি মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেননি।
তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার সেই কষ্ট থেকেই আজ দেশের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছি।”

দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, “সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক হত্যার বিচারহীনতা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে এম এ মালিক বলেন, “দেশ এখন গভীর সংকটে। প্রশাসনে এখনও ষড়যন্ত্রকারী ও বাকশালী মানসিকতার লোক রয়েছে। তাই বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে—এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি এমপি হই বা না হই, আমার এলাকার উন্নয়ন যেন কোনোভাবে ইলিয়াস আলীর চেয়ে কম না হয়—এটাই আমার অঙ্গীকার।”

এম এ মালিক জানান, বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ দক্ষিণ সুরমা অঞ্চলের উন্নয়নে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তিনি আশ্বাস দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই অঞ্চলের সব রাস্তা কার্পেটিং সম্পন্ন হবে এবং পাঁচটি রাস্তায় কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী শুক্রবার থেকে প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হবে, যেখানে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল সরাসরি উপস্থিত থেকে অনুমোদন দেবে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫
৫৫৭ Time View

বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ: এম এ মালিক

আপডেটের সময় : ০৫:৫৯:১৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

তিনি আরও বলেন, “দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আমাকে বলেছেন—দেশে থাকো, দেশের মানুষের সেবা করো। তাই আমি তার নির্দেশই পালন করছি।”

মঙ্গলবার রাতে সিলেটের বালাগঞ্জ উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সভায় এম এ মালিক স্মৃতিচারণ করে বলেন, তাঁর প্রয়াত মায়ের শেষ ইচ্ছা ছিল নিজ গ্রামের কবরস্থানে বাবার পাশে দাফন হওয়ার, কিন্তু বিগত সরকারের সময় পাসপোর্ট আটকে দেওয়ার কারণে তিনি মায়ের সেই ইচ্ছা পূরণ করতে পারেননি।
তিনি আবেগাপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমার সেই কষ্ট থেকেই আজ দেশের মানুষের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছি।”

দেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে তিনি বলেন, “সাগর-রুনির মতো সাংবাদিক হত্যার বিচারহীনতা যাতে আর না ঘটে, সেজন্য বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রসঙ্গ টেনে এম এ মালিক বলেন, “দেশ এখন গভীর সংকটে। প্রশাসনে এখনও ষড়যন্ত্রকারী ও বাকশালী মানসিকতার লোক রয়েছে। তাই বিএনপি পরিবারকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে—এটাই আমাদের নেতার নির্দেশ।”

তিনি আরও বলেন, “আমি এমপি হই বা না হই, আমার এলাকার উন্নয়ন যেন কোনোভাবে ইলিয়াস আলীর চেয়ে কম না হয়—এটাই আমার অঙ্গীকার।”

এম এ মালিক জানান, বালাগঞ্জ-ফেঞ্চুগঞ্জ দক্ষিণ সুরমা অঞ্চলের উন্নয়নে “রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা” বাস্তবায়নের কাজ চলছে। তিনি আশ্বাস দেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই অঞ্চলের সব রাস্তা কার্পেটিং সম্পন্ন হবে এবং পাঁচটি রাস্তায় কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আগামী শুক্রবার থেকে প্রতিটি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিশেষ বরাদ্দ কার্যক্রম শুরু হবে, যেখানে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি দল সরাসরি উপস্থিত থেকে অনুমোদন দেবে।