মানিকগঞ্জে বিধি-নিষেধ অমান্য করে বিরোধপূর্ণ জমিতে পাকা ইমারত তৈরী করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জেলা সদরের পৌরসভার শহীদ রফিক সড়কের পার্শে মানিকগঞ্জ প্লাজা নামের বিল্ডিংটির ৪তলার অনুমতি থাকলেও তা উপেক্ষা করে ৫তলার কাজ করাও হয়েছে সম্পূর্ণ।
পুলিশ সুপার বরাবর করা আভিযোগ সূত্রে জানা যায়,“ মানিকগঞ্জ প্লাজার পাশের ভবনটির নির্মাণ কাজ চলাকালীন ৩ তলার ছাদ ঢালাই দিতে হলে ২ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে মোতালেব ।কিন্তু মোতালেবকে কোনপ্রকার চাঁদা না দিয়েই ঢালাই কাজ সম্পূর্ণ করায় ২০০৫ সালের ২৭শে মার্চ দুপুরে তৎকতালীন মানিকগঞ্জ জেলা যুবদলের সভাপতি ফেলু বেপারী’র ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেন ও ইকবাল দুজনে পাশের বিল্ডিয়ের হামিদুর রশিদ কাজলের মার্কেটের সামনে থেকে কাজলের মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে ।টাকা দিতে অস্বীকার করায় গুলি করার ভয় দেখিয়ে কাজলের কাছে থাকা নগদ বিশ হাজার টাকা নিয়ে নেয় মোতালেব ।তাদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে বাকি টাকা দেওয়ার জন্য ৭ দিনের সময় অন্যথায় কাজলকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে মোতালেব ও ইকবাল চলে যায় ।”
২০১৮ সালে করা আরেকটি অভিযোগের সূত্রে জানা যায়, ফেলু বেপারির ছেলে মোঃ মোতালেব হোসেন, হামিদ আলীর ছেলে মোঃ আনোয়ার হোসেন, ইসমাইল হোসেনের ছেলে মোঃ ইমরান হোসেন ও ইসমাইল হোসেনের স্ত্রী হালিমা বেগমসম বহিরাগত ৫/৬ জন ভাড়াটে লোক মোঃ হামিদুর রশিদের জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মান এবং পারিবারিক কবরস্থান ভাঙিয়া ইমারত নির্মান করছে ।সেই সাথে এসকল বিষয় নিয়ে কোন কিছু করলে হামিদুর রশিদক কাজল’কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি ।”
সরজমিনে দেখা যায়, মানিকগঞ্জ প্লাজা নাকম ভবনটির ৪তলার অনুমতি থাকলেও তা অমান্য করে ৫তলার কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে ।ভবনটির উত্তর প্বার্শে পারিবারিক কবরস্থানটির দেয়ালও ভাঙা ।
উক্ত ঘটনায় পৈতৃক সূত্রে জমির মূল মালিক দাবীদার মোঃ হামিদুর রশিদ থানা পুলিশসহ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে সাংবাদিকদের নিকট জানান।
মোঃ হামিদুর রশিদ জানান, “ ২০০৫ সালে আমি মানিকগঞ্জ পৌরসভার কমিশনার থাকা কালীন সময় আমার ফ্ল্যাটে মোতালেবের ভাগনি হালিমা ও তার স্বামী ইসমাইল ভাড়া থাকতো । সেই সুবাদে মোতালেব আসা-যাওয়া করতো । তারা আমি ও আমার ভাই এর মধ্যে বিরোধ তৈরীর জন্য বিভিন্ন ভাবে পরিকল্পনা করে ।আমার ভাইকে হাত করে তারা আমার ভাইয়ের সম্পত্তি ক্রয় করে । কিন্তু তার ক্রয়কৃত সম্পত্তির চাইতে বেশি সম্পত্তি দখল করে ইমারত নির্মান করেছে । আমি থানায় ও এসপি অফিসে অভিযোগ করে এখনও পর্যতন্ত এর কোন প্রতিকার পাইনি। এমনকি তারা আমাকে আমার মা-বাবার কবরটিও জিয়ারত করতে দেয়না ।
আমি প্রশাসনের কোন ধরনের সহযোগীতা পাইনি ।তাই আমি উক্ত ঘটনায় সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্থক্ষেপ কামনা করছি ।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ মোতালেব হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি ।