ইমার্জিং এশিয়া কাপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতল পাকিস্তান। টুর্নামেন্টের শিরোপা নিজেদের কাছেই রেখে দিল তারা। ভারত ‘এ’ দলের বিপক্ষে কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে ১২৮ রানের জয়ে ইমার্জিং এশিয়া কাপের দ্বিতীয় শিরোপা জিতল পাকিস্তান।
রোববার সায়েম আইয়ুব-শাহিবজাদা ফারহানের জোড়া ফিফটির পর তৈয়ব তাহিরের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ৩৫৩ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। জবাবে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ২২৪ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
টুর্নামেন্টের শিরোপা নিজেদের কাছেই রেখে দিল তারা। এর আগে ২০১৩ সালে ইমার্জিং এশিয়া কাপের প্রথম টুর্নামেন্টেই পাকিস্তানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। ১০ বছরের পুরোনো প্রতিশোধ নিলো পাকিস্তান ‘এ’ দল।
প্রথমে ব্যাট করে ৩৫২ রানের পাহাড় গড়ে পাকিস্তান। সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেন তাহির। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দুটি করে উইকেট নেন হাঙ্গারগেকার ও রিয়ান পরাগ।
পাকিস্তানের দেয়া ৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুই ওপেনার ব্যাটে ভালো শুরু পায় ভারত। সাই সুদর্শন ও অভিষেক শর্মা মিলে গড়েন ৬১ রানের জুটি। ইনিংসের নবম ওভারে ২৯ রান করে সুদর্শন ফিরলে ভাঙে উধ্বোধনী জুটি। তিনে নামা নিকিন জোস দ্রুত ফেরেন। দলীয় ১৩২ রানে ফেরার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন অভিষেক। তার ৫১ বলের ইনিংসে ছিল ৫ চার ও ১ ছক্কা। সেমিফাইনালে বাংলাদেশের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করা ইয়াশ ধুল এদিন ফেরেন ৩৯ রানে।
এরপর ভারতের আর কেউই উইকেটে থিতু হতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ৪৫ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়ে ২২৪ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
এর আগে কলম্বোর প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে সায়েম আইয়ুব-শাহিবজাদা ফারহানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু পায় পাকিস্তান। দুজনে মিলে গড়েন ১২১ রানের জুটি। ৫১ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫৯ রান করে সায়েম ফিরলে ভাঙে জুটি। ২৫ রানের ব্যবধানে ফেরেন আরেক ওপেনার ফারহান। তার ব্যাট থেকে আসে ৬২ বলে সমান ৪টি করে চার-ছক্কায় ৬৫ রানের ইনিংস।
এরপর অন্যপ্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারালেও অন্যপ্রান্তে তাণ্ডব চালান তাহির। দলীয় ৩১৩ রানে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে আসে মাত্র ৭১ বলে ১২ চার ও চার ছক্কায় ১০৮ রানের ইনিংস। শেষদিকে মেহরান মুমতাজের ৩৫ রানের ইনিংসে ৩৫৩ রানে থামে পাকিস্তানের ইনিংস।