মালয়েশিয়ার পেনাং-এ জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসী ভোটদান বিষয়ে মতবিনিময় সভা
মালয়েশিয়ার পেনাং,কেদাহ, পেরাকসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার প্রবাসী বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণে জাতীয় নির্বাচনে প্রবাসীদের ভোটদান বিষয়ে আজ কেদাহ-এর কুলিমে আজ একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মতবিনিময় করেন এবং প্রবাসীদের মধ্যে জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্টকার্ড) বিতরণ করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ হাই কমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মাত শাহানারা মনিকা ।
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সরকার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য নির্বাচন কমিশনের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং প্রবাসীগণ যেন এই নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে রোজার আগেই নির্বাচন করার জন্য নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করেছে। তিনি আরো বলেন একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধ পরিকর এবং কোন প্রভাবে নির্বাচন কমিশন প্রভাবিত হবে না।
এসময় তিনি প্রবাসীদের ভোটদানের প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন। তিনি জানান প্রবাসী ভোটারদের জন্য ‘তথ্যপ্রযুক্তি-সহায়ক পোস্টাল ভোটিং’ চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অনলাইনে ভোটার হিসেবে আবেদন এবং নিবন্ধনের সুযোগ রাখা হচ্ছে।প্রবাসীগণকে মোবাইল এপ্লিকেশন এর মাধ্যমে ভোট প্রদানের জন্য নিবন্ধন করতে হবে। এরপর প্রবাসীদের ঠিকানায় পোস্টের মাধ্যমে ব্যালট পেপার এবং ফিরতি খাম পাঠানো হবে। প্রবাসীগণ ভোট প্রদান করে নির্বাচন কমিশন প্রদত্ত নির্ধারিত খামে ব্যালট পেপার পোস্ট করবেন যা সংশিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে চলে যাবে। ভোটারগণ তার ব্যালট কোথায় যাচ্ছে তা অনলাইনে ট্রাকও করতে পারবেন বলে তিনি জানান। তিনি এ প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের সহযোগিতা কামনা করেন।
ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভোটদানের সুযোগ দেয়ার জন্য এবং ভোটদান প্রক্রিয়া বিষয়ে মতবিনিময়ের জন্য নির্বাচন কমিশনারকে ধন্যবাদ জানান। ভোটিং প্রক্রিয়ায় প্রবাসীদের অংশগ্রহনে সহায়তা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী হাই কমিশন সকল প্রকার প্রচার-প্রচারণা চালাবে বলে তিনি জানান।
পরে নির্বাচন কমিশনার জাতীয় পরিচয় পত্র (স্মার্টকার্ড) বিতরণ করেন এবং উপস্থিত প্রবাসী ও সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। প্রশ্নোত্তর পর্বে নির্বাচন কমিশনার এবং ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার প্রবাসীদের জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্ট বিষয়ে নানাবিধ প্রশ্নের জবাব দেন।
অনুষ্ঠানে প্রবাসী কমিউনিটি প্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশাজীবী, সামাজিক – সাংস্কৃতিক সংগঠনের প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা -কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময় শেষে উপস্থিত প্রবাসীদের আপ্যায়ন করা হয়।