জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় ‘বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাপুনর্মিলনী ২০২৩’।
শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) বুয়েট খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত এ মিলনমেলায় দেশ-বিদেশের কয়েক হাজার প্রকৌশলী ও তাদের পরিবারবর্গ অংশ নেয়।
দিনব্যাপী আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল জব্বার খান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পানিসম্পদ বিশেষজ্ঞ, পরিবেশ বিজ্ঞানী, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত।
এছাড়া বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব প্রকৌশলী মাহতাব উদ্দিন, মহাপুনর্মিলনী-২০২৩ আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী মুনীর উদ্দিন আহমেদ এবং অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সমন্বয়ক ও বুয়েট ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বুয়েট অ্যালামনাইদের দেশে-বিদেশে অসামান্য কৃতিত্বপূর্ণ অবদান, বুয়েট অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য, বিগত দিনের কার্যক্রম, বর্তমান ও ভবিষ্যত কর্মপরিকল্পনা তুলে ধরেন।
বক্তারা বলেন, বর্তমান প্রশাসনের নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আগামীতে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বর্তমানের চেয়ে ১০০ গুণ বেশি প্রশিক্ষিত হয়ে বের হবে। অনুষ্ঠানের মুক্ত আলোচনার বিষয় ছিল ‘প্রকৌশল শিক্ষার বিবর্তন ও ভবিষ্যত’। প্রবন্ধটি উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ বুয়েটের কেমিক্যাল অ্যান্ড মেটিরিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন ও পেট্রোলিয়াম ও খনিজসম্পদ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তামিম।
দিনব্যাপী আযোজিত এ মহাপুনর্মিলনীর বর্ণাঢ্য আয়োজনে ছিল উদ্বোধনী অধিবেশন, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রাতঃরাশ, মধ্যাহ্ন ভোজ, নৈশ ভোজ ও বুয়েটের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের পুরস্কার দেওয়াসহ বিনোদনের আরও অনেক আকর্ষণীয় কার্যক্রম। সতীর্থদের সঙ্গে মিলিত হয়ে স্মৃতিচারণ ও মনোজ্ঞ আয়োজনে অংশ নেওয়ার মহাপুনর্মিলনী অনুষ্ঠান এক মহামিলনে পরিণত হয়। পুনর্মিলনী উপলক্ষে বর্ণিলভাবে সাজানো হয়েছে বুয়েটের খেলার মাঠ।