মিয়ানমারের পরিস্থিতি আস্তে আস্তে খারাপের দিকে যাচ্ছে। তবে আমাদের ওপর আগ্রাসনের কোনো সম্ভাবনা দেখি না। তারপরও আমরা প্রস্তুত। আমরা বিশ্ব শান্তির জন্য কাজ করবো, আমরা কখনোই আগ্রাসী ভূমিকায় যাবো না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।
এ সময় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবস্থা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখন অবস্থা আমাদের খুবই ভালো।’
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ডিসি সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আগুনের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা উচিত বলে মনে করেন তিনি। বারবার অগ্নিকাণ্ড, এটা কি আপনারা ষড়যন্ত্র হিসেবে নিচ্ছেন কি না? জবাবে মেজর জেনারেল বলেন, এটাই আমি বলেছি ডিসি সাহেবদের। আমরা এসব ব্যাপারে ইনভল্ভ হই না, আমরা শুধু উদ্ধার কাজে ইনভল্ভ হই। ওই যে খুঁজে বের করা, খতিয়ে দেখা, উড়িয়ে দেওয়া যায় না। যদিও এ মৌসুমটা শুকনো মৌসুম সেজন্যই সাধারণত হয়। তবু এটা দেখা উচিত। খতিয়ে দেখা মানে কি এটা ষড়যন্ত্রের জন্য শুধু না, যে শিথিল জায়গাগুলো আছে, ওগুলোকে শক্ত করা, যাতে করে ওটা আর না হতে পারে।
ক্রস বর্ডার কিলিং নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক বলেন, ক্রস বর্ডার কিলিং তো এটা আসলে এটা কোনো পরিকল্পিত কিছু না। এক্ষেত্রে দুই পক্ষেরই দোষ থাকে। আমাদেরও দোষ, বর্ডারের ওই পাশের ওদেরও দোষ।
তিনি বলেন, এটা কিলিং না কিন্তু ইনসিডেন্ট বলতে পারেন। এখানকার স্মাগলাররা যায়। তারা কতটা সাহসী… আমার মনে হয় মাঝে মাঝে এদেরকে আর্মিতে রিক্রুট করে নেই। কারণ এরা আসলেই এত রিস্ক নিয়ে যায়, আমি জানি যত ইন্ডিয়ান বিএসএফ আছে ওরা রীতিমতো আমাদের স্মাগলারদের ভয় পায়। অনেক সময় তারা আক্রমণ করে বসে বিএসএফকে, তখন তো তারা গুলি করতে বাধ্য হয়। আমাদের পক্ষ থেকেও যেমন গুলি চালানো হয় মাঝে মাঝে।
বর্তমানে বর্ডার হাটের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।