মেহেরপুর প্রতিনিধিঃ
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর ইউনিয়নের হাড়াভাঙ্গা গ্রামে বিদ্যুত এর তারে জড়িয়ে থাকা অবস্থায় মা তাছলিমা খাতুন (২৭) ও তার শিশুকন্যা মাহি খাতুনের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মাহির বয়স মাত্র দেড় বছর। এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর তাছলিমার স্বামী মিন্টু চৌধুরী গাঁ ঢাকা দিয়েছেন।
মিন্টু চৌধুরী হাড়াভাঙ্গা গ্রামের পশ্চিম (পুরাতন) পাড়ার বাসিন্দা। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে স্বামীর বাড়ি থেকে তাছলিমা ও তার মেয়ে মাহির মরদেহ উদ্ধার করে গাংনী থানা পুলিশের একটিদল। স্থানীয়রা জানান,মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে তাছলিমা ও তার মেয়ে মাহির মরদেহ বিদ্যুতের তারে (কেবলে) জড়িয়ে থাকা মরদেহ দেখতে পান তাছলিমার শ্বাশুড়ি। বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানান তাছলিমার শ্বাশুড়ি। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখে মা ও মেয়ের নিথর মরদেহ পড়ে রয়েছে। এ বিষয়ে তাছলিমার স্বামীর আত্মীয়-স্বজনরা বলছে,বিদ্যুত লাইন থেকে চার্জার ব্যাটারি খুলতে গিয়ে মা ও মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে এলাকার মানুষ বলছে,এ মৃত্যু রহস্যেজনক। কারণ,মিন্টু চৌধুরীর স্ত্রী-সন্তান থাকা সত্ত্বেও গত ১ সপ্তাহে আগে অন্য নারীকে বিয়ে করেছেন। এ বিয়েকে কেন্দ্র করে তাছলিমা প্রতিবাদ করতে গেলে,মিন্টু তাকে মারধর করেন। গত কয়েকদিন ধরে মিন্টু তার স্ত্রী তাছলিমাকে মারধর করে আসছিলেন। ফলে মিন্টু পথের কাঁটা সরাতে স্ত্রী-সন্তানকে কৌশলে হত্যা করে বিদ্যুত লাইনে জড়িয়ে রেখে নাটক সাজাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে । তবে অনেকেই বলছে, স্বামীর মারধরের কারণে তাছলিমা তার শিশু কন্যাকে কােলে নিয়ে নিজের ইচ্ছা বিদ্যুত লাইনে হাত দিয়ে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
স্থানীয়রা আরোও জানান,তাছলিমাকে বিয়ের আগে মিন্টুর প্রথম স্ত্রী ও সন্তান ছিল। পরবর্তিতে শরিয়তপুর জেলার মেয়ে তাছলিমাকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। গত এক সপ্তাহ আগে মিন্টু নিজ এলাকায় ততৃীয় বিয়ে করেছেন।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রথমত: মনে হচ্ছে,বিদ্যুত লাইনে শরীর স্পর্শ করার কারণে মা ও তার মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা বলা সম্ভব হবে।