পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, যারা মেধা এবং শারীরিক দিক থেকে অধিকতর যোগ্য এবং জনগণকে আধুনিক ও উন্নত সেবা প্রদানে সক্ষম তারাই পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন। পুলিশের কনস্টেবল পদে ৪ হাজার প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তিনি এ কথা বলেন
শনিবার পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
আইজিপি বলেন, আমরা জব মার্কেট থেকে ‘বেস্ট অব দ্যা বেস্ট’ প্রার্থী বাছাই করতে সক্ষম হয়েছি। নতুন নিয়োগ বিধি অনুযায়ী সেরা প্রার্থীদের পুলিশে নিয়োগ করা হচ্ছে।
জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার হাস্তাবসন্তপুর গ্রামের মুদি দোকানের কর্মচারী লিটন চন্দ্র সাহার মেয়ে লাবনী রানী সাহা চাকরি পেয়েছেন পুলিশের কনস্টেবল পদে। মেয়ের চাকরি হওয়ার খুশিতে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি লিটন চন্দ্র সাহা। আবেগ জড়ানো কণ্ঠে বলেন, বিনা পয়সায় আমার মেয়ে চাকরি পেয়েছে। টাকা ছাড়া চাকরি হয়, এটি আজ দেখলাম।
পুলিশ জানায়, লাবনী রানী সাহার মত অনেক প্রান্তিক পরিবারের সদস্যই নিজের মেধা ও যোগ্যতা বলে কোনো ধরনের অর্থ বা তদবির ছাড়াই বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে চাকরি পেয়েছেন। চাকরি পাওয়ার আনন্দে আবেগাপ্লুত অনেক প্রার্থী এবং তাদের পিতামাতা খুশিতে অশ্রুসজল হয়েছেন, তারা কোনো কথাই বলতে পারেননি।
বাংলাদেশ পুলিশে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ৪ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে অনলাইনে আবেদন গ্রহণ শুরু হয় চলতি বছরের ১ ফেব্রুয়ারি। আবেদনের শেষ দিন ছিল ২৮ ফেব্রুয়ারি। মোট আবেদনকারী ছিল এক লাখ ৯৬ হাজার ৭২১ জন। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৮০ হাজার ৭৪০ জন, নারী ১৫ হাজার ৯৮১ জন।
ওয়েব বেইজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিং, শারীরিক মাপ, কাগজপত্র বাছাই ও ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্ট, লিখিত পরীক্ষা, মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে প্রাথমিকভাবে কনস্টেবল পদে ৪ হাজার প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত প্রার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ভেরিফিকেশন শেষে চূড়ান্তভাবে প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ওয়েববেইজড প্রিলিমিনারি স্ক্রিনিংয়ে একটি এপ্লিকেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রার্থীদের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল এবং উচ্চতার ভিত্তিতে শূন্যপদের বিপরীতে ১:৩৫ অনুপাতে প্রাথমিকভাবে এক লাখ ১৫ হাজার ৬০৩ জন প্রার্থী বাছাই করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ এক লাখ ৯৩৭ জন এবং নারী ১৪ হাজার ৬৬৬ জন। ফিজিক্যাল অ্যান্ডুরেন্স টেস্টে উত্তীর্ণ হয় ৩১ হাজার ৪০৫ জন। এর মধ্যে লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ৩১ হাজার ২৫৪ জন। এদের মধ্য থেকে মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিকভাবে ৪ হাজার প্রার্থী ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে মনোনীত হয়েছেন।