Saturday , 18 May 2024
শিরোনাম

রামপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মান্নান মিজিকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা।

মাসুদ রানাঃ- পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মান্নান মিজিকে দীর্ঘদিন থেকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করে আসছে একটি কুচক্রী মহল। রামপুর ইউনিয়নের আলগী মিজি বাড়ির সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মান্নান মিজিকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করার এই চক্রান্তকারীর মুলহোতা হজু ঢালীসহ তার ৫ ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। এ কুচক্রী ও সরযন্ত্রকারীর বিরুদ্ধে চাঁদপুর আদালতে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে মামলা রয়েছে।

গত ২৬ নভেম্বর তারিখের স্হানীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে “রামপুর ইউনিয়নের আলগীতে পূর্ব শত্রুতায় পুকুরে বিশ প্রয়োগে মাছ নিধনের অভিযোগ” শিরোনামে মান্নান মিজির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা ও সরযন্ত্রমুলক সংবাদ প্রকাশের নেপথ্যে কুচক্রী হিসাবে হজু ঢালী ও তার ৫ ছেলে কাজ করে।

প্রকাশিত সংবাদে মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে আমিন মিজির ছেলে মান্নান মিজি বলেন আমি ১৬ শতাংশ জায়গা কিনেছি। পরবর্তীতে আমার জায়গার উপরে চৌহদ্দি দিয়ে আলমগীর ১০ শতাংশ জায়গা কিনে, কিন্তু আমার জায়গা বারবার দখল করতে আসে বিধায় আমি আদালতে একটা মামলা দাখিল করি এবং আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উনি ধানের জালা ফেলতে এলে আমি তাকে বাধা দেই। এই হলো আমার সাথে বিরোধ। কিন্তু ওনার পুকুরে কে বা কাহারা বিশ প্রয়োগ করে মাছ মেরে ফেলেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, আমি মনে করি আমার সাথে জমি সংক্রান্ত বিরোধের কারণে আমার নামে এই রকম অপপ্রচার চালিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজ করে আমার দীর্ঘ দিনের সুনাম ক্ষুন্ন করছে।

তিনি আরও বলেন, আমার জানামতে যে পুকুরে বিশ প্রয়োগে মাছ মারা হয়েছে সেই জায়গা নিয়ে বারেক ঢালীর সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ চলছে, এই পুকুরের জায়গা নিয়ে মামলা চলমান, পুলিশি তদন্ত হয়েছে, আমি এই মাছ মারা সমন্ধে কিছুই জানিনা তারপরও আমার নাম এনে কেন আমার মানসম্মান ক্ষুন্ন করা হলো আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

মন্নান মিজির পূর্ব পার্শের ১০ শতাংশ জায়গার মালিক মালেক বেপারীর ছেলে আবুল খায়ের বেপারী বলেন, মান্নান মিজির পরিবারের একটা সুনাম আছে, তারা এই ধরনের কাজ করতে পারেনা। জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কিছু কুরুচিপূর্ণ লোকজনের পরামর্শে মান্নান মিজিকে হেয়োপ্রতিপন্ন করার জন্য এধরনের কাজ করছে।

রামপুর ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাসান রাজা বলেন, আমি গত শুক্রবার সকালে জানতে পারি বিশ প্রয়োগে মাছ মেরে ফেলা হয়েছে কিন্তু সরেজমিনে তদন্ত করে দেখা যায় মাছ মেরে ফেলা হয়েছে এটা সত্য। কে বা কাহারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে এটার কোন সুনির্দিষ্ট প্রমাণ বা তথ্য পাওয়া যায়নি। পত্রিকার মাধ্যমে যাদের নাম (মান্নান মিজি বা সালমা) উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো অবান্তর, মিথ্যা। হয়রানি করার জন্য এগুলো করা হচ্ছে বলে আমি মনে করি।

এলাকাবাসী নয়ন বেপারী বলেন, আমি ছোট বেলা থেকেই মান্নান কাকাকে চিনি এবং জানি আমি কখনো কোন খারাপ বা কোন অপরাধ মুলক আচরণ পাইনি। ওনার নামে এই ধরনের অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য না।

স্থানীয় বাজারের মনজু ডাক্তার বলেন, “হাইয়ের নাম বেকতেই জানে খালি শরমে নাম লয়না” মান্নান মিজিকে দিয়ে এই ধরনের কোন কাজ হতে পারেনা।

যাদের সাথে পুকুরের জায়গা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলছে প্রবাসীর স্ত্রী সালমা আক্তার বলেন আজ প্রায় ১৬ বছর যাবত এই পুকুরে উনি মাছ চাষ করছে। মহামান্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেও উনি মাছ চাষ করেই আসছে। চেয়ারম্যান, মেম্বার, পুলিশ, এমনকি আদালতকে অবমাননা করে উনি এই মাছ চাষ করছে। আমার চাচা শশুরকে দা দিয়ে কোপ দিয়ে জখম করে। আমাকে হুমকি ধমকি দেয়। আমাদের পুরুষ মানুষ নেই বলে কিছু সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এই কাজগুলো করছে আমি প্রশাসন সহ প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করছি এবং উনি ১৬ বছর যাবত এই পুকুরে এইভাবে বিশ প্রয়োগ করে জেলেদের মাধ্যমে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে, এবারও তিনি একই ভাবে বিশ প্রয়োগ করে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করেছে এতে কে দায়ী? তাহলে আমাদের নাম আসছে কেন?

মান্নান মিজির সুনাম নস্ট করার জন্য কুচক্রী মহলের বিভিন্ন অপচেষ্টার বিরুদ্ধে মান্নান মিজি, তার পরিবার এবং এলাকাবাসী তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। কুচক্রী হজু ঢালী এবং তার ৫ ছেলের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করেছে।

Check Also

নরসিংদীতে বজ্রপাতে মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু

নরসিংদীতে আলাদা স্থানে বজ্রপাতের ঘটনায় মা-ছেলেসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x