Sunday , 19 May 2024
শিরোনাম

রাশিয়ান সেনাদের মধ্যে বিদ্রোহের আঁচ!

টানা ১২ সপ্তাহ তথা ৮৪ দিন ধরে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ চলছে। একটানা এই যুদ্ধের ফলে কি রুশ সেনাদের মনোবল ভাঙছে? তারা কি ‘বিদ্রোহী’ হয়ে উঠছেন? বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া একাধিক অডিও ক্লিপ থেকে সেরকম তথ্যই উঠে আসছে।

সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা অডিও ক্লিপে পুতিনকে লক্ষ্য করে এক রুশ সেনাকে অশ্লীল ভাষায় ব্যাঙ্গোক্তি করতে শোনা যাচ্ছে। যদিও সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

অডিও রেকর্ডিংগুলো ইন্টারনেটে শেয়ার করেছে ইউক্রেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গোয়েন্দা বিভাগ।

কিয়েভের গোয়েন্দা বিভাগের প্রকাশিত অডিও ক্লিপ অনুযায়ী, পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়েছে যে, রুশ সেনাদের মধ্যে বিদ্রোহের মনোভাবকে বাগে আনার জন্য এক নতুন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়।

তিনি ‘বিদ্রোহী’ সেনাদের চিহ্নিত করে, তাদের বেঁধে ট্রাকে করে দেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেনাদের কথপোকথনে তেমনটাই উঠে এসেছে।

রুশ সেনাদের নিজেদের মধ্যে আলোচনায় সেই জেনারেলের নাম পুরো প্রকাশ করা না হলেও, মনে করা হচ্ছে তারা লেফটেন্যান্ট জেনারেল রুস্তম মুরাদভের কথা বলছিলেন।

সেনামহলে তিনি এক জন কঠোর সেনা কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত। সিরিয়া গৃহযুদ্ধের সময় তিনি ‘নৃশংস’ লড়াইয়ের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

তিনি আসছেন জেনেই সেনারা নিজেদের মধ্যে আলাপ শুরু করেন। ওই অডিও ক্লিপে এক সৈনিক বলছিলেন, ‘কেউ আর এগোতে চাইছে না। তাই সেনাদের মধ্যে শৃঙ্খলা আনার জন্য ওকে পাঠানো হয়েছে’।

ওই সেনা বলছেন, রুশ কমান্ডাররাও তাদের ছেলেদের ‘মৃত্যুর মুখ ঠেলে দিতে আর রাজি নন। কমান্ডারের এই মনোভাব মুরাদভের কাছে পৌঁছায়।

তাদের ডেকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেন তিনি। প্রথমে তাদের পোশাক খুলে নেন। তার পর তাদের পকেট থেকে সব কিছু বের করে নেন। হাত বেঁধে দেন। পরে তাদের একটি ট্রাকে করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

সেনা কর্মকর্তা মুরাদভকে ২০১৭ সালে হিরো অফ রাশিয়ান ফেডারেশন উপাধি দেওয়া হয়। খোদ পুতিন তাকে এই উপাধি দেন।

অন্য একটি অডিও রেকর্ডিংয়ে এক রুশ সেনাকে তার বান্ধবীর সঙ্গে এই পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়। যেখানে তিনি তার বান্ধবীকে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ নিয়ে হতাশার কথা বলতে বলছিলেন।

বান্ধবী জানান, তার বিশ্বাস ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে খুব শীঘ্রই বেলারুশও যোগদান করবে। তার প্রত্যুত্তরে ওই সেনা একটু উত্তেজিত হয়ে বলেন, ‘যোগ দিতে দাও। তাতে আমার কিছু যায় আসে না’।

তখন তার বান্ধবী বলেন, তেমনটা হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। কারণ পুতিন নিজের ‘জয়’কে অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চান না। তখন রুশ সেনাটিকে বলতে শোনা যায়, ‘যা পাারে করুক, এখানে যথেষ্ট হয়েছে’।

এই কথপোকথন থেকেই ধারণা করা হচ্ছে, রুশ সেনাদের মধ্যে চলতি যুদ্ধ নিয়ে বেশ ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

কিয়েভ প্রায়শই বিভিন্ন অডিও ক্লিপ প্রকাশ করে যাতে শোনা যায়, রুশ সেনার পরিবার বা তার বন্ধুরা তাকে ঘরে ফিরে আসতে বলেছেন।

কিয়েভের দাবি অনুযায়ী, ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ২৫ হাজার রুশ সেনা মারা গিয়েছেন। যদিও রাশিয়ার দাবি, মাত্র এক হাজার ৩০০ সেনা এখন পর্যন্ত মারা গিয়েছেন। সূত্র-দেশ রূপান্তর

Check Also

ময়মনসিংহের ত্রিশালে বোরোধান- চাউল সংগ্রহের উদ্বোধন

দিলীপ কুমার দাস নিজস্ব প্রতিবেদক । ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় সরকারীভাবে ধান-চাল সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়েছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x