শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি হচ্ছে। শিক্ষাগুরুর মর্যাদা সবার উপরে।
শিক্ষকদের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে সবাইকে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।
বুধবার (২০ জুলাই) রাতে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার ধানগড়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গুণীজন সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ ও বেসরকারি সংস্থা অগ্রসর রায়গঞ্জ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়েছে বলে সম্প্রতি একটি মহল গুজব রটিয়েছিল। বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ধর্মীয় শিক্ষা বাদ দেওয়া হয়নি। আমাদের দেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ ও ধর্মভীরু। আর এটাকে পুঁজি করে ধর্মব্যবসায়ীরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে তৎপর রয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও বতসবাড়িতে হামলা হচ্ছে। এই হামলার নেপথ্যে রয়েছে ৭১ ও ৭৫ এর পরাজিত ঘাতকের দোষররা, নির্বাচনের আগে এরা দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে কি হিন্দু-মুসলিম একসঙ্গে অংশ নেয়নি? হিন্দুর রক্ত-মুসলমানের রক্ত একসঙ্গে মিশে যায়নি? তবে এখন কেন হিন্দুদের ওপর হামলা। এটা দেখে আমরা বসে থাকতে পারি না।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বে যুদ্ধাবস্থা চলমান থাকায় অস্বাভাবিক হারে জ্বালানির দাম বেড়েছে। কতদিন এ অবস্থা চলমান থাকবে তা কেউই জানে না। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে অর্থনীতির চাপ সামাল দিতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা হচ্ছে লোডশেডিংয়ের মাধ্যমে, এটা বিদ্যুৎতের ঘাটতি নয়। সারাদেশে শতভাগ বিদ্যুৎতায়ন করেছে বর্তমান সরকার, চরাঞ্চলেও বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
রায়গঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাদী আলমাজি জিন্নাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কেন্দ্রীয় সদস্য মেরিনা জাহান কবিতা, জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ এমপি, অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত মুন্না এমপি, তানভীর শাকিল জয় এমপি, সিরাজগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট আবু ইউসুফ সূর্যসহ জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।