রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিশেষ সার্ভিস চালু করতে যাচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) ডিএমটিসিএল থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা হয়েছে, অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী ও পেশাজীবীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ৭টা ১০ মিনিটে এবং ৭টা ২০ মিনিটে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে দুটি মেট্রো ট্রেন মতিঝিলের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে। ট্রেন দুটি বর্তমানে চালু সব স্টেশনে থামবে। এ ট্রেন দুটিতে শুধু এমআরটি র্যাপিড পাস ব্যবহার করে ভ্রমণ করা যাবে।
ডিএমটিসিএলের জনসংযোগ কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদের জন্য বিশেষ মেট্রোরেল চালু করা হবে। তবে, সবার এমআরটি কার্ড থাকা লাগবে। কারণ ৭টা ১০ মিনিটে মেট্রোরেলের টিকিট এখনো চালু হয়নি।
গত শনিবার মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের পর দেশের প্রথম মেট্রোরেল কার্যত পূর্ণতা পেয়েছে। মেট্রোরেল চালুর মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দূরত্বের পথ মাত্র ৩৮ মিনিটে পার হতে পারছেন যাত্রীরা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পুরো পথের জন্য ভাড়া লাগছে ১০০ টাকা।
জানা গেছে, এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্পটি ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৭১৮ কোটি টাকা ঋণ সহায়তা দিচ্ছে জাইকা। বাকি ১৩ হাজার ৭৫৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা বহন করছে বাংলাদেশ সরকার। মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পটি ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাইকার সঙ্গে চুক্তি সই হয়। প্রথমে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৬ নির্মাণের কথা ছিল। যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনায় সেটি কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণ করতে অনুশাসন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দূরত্ব এক দশমিক ৬ কিলোমিটার। বর্তমানে বর্ধিত অংশের অর্থাৎ মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যদিও নির্মাণকাজের শুরুতে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। গত ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের বাস্তব কাজ শেষ হয়েছে ৯৮ দশমিক ০৮ শতাংশ।