১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলার রূপকার জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে খুনিরা। সেদিন খুনিদের হাত থেকে রেহাই পাননি শেখ মুজিবুরের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল।মাত্র ১১ বছর বয়সী রাসেলকে খুন করতে হাত কাঁপেনি খুনিদের।
ইতিহাসের নৃশংস ও মর্মস্পর্শী এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গভীর ও বিনম্র শ্রদ্ধায় বঙ্গবন্ধুসহ সেদিনের শহীদদের স্মরণ করছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। আজ জাতীয় শোক দিবসে শেখ মুজিবুর রহমান এবং তার পরিবারের আত্মার মাগফেরাত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লি: এর চেয়ারম্যান ও বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এর উদ্যোগে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল এবং গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।আজ (১৫ আগস্ট) সকালে বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা ও শহীদ শেখ রাসেল সহ ঐদিনের সকল শহীদদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীবৃন্দ। এরপর বনানী কবরস্থানেই মিলাদ এবং দোয়া মাহফিল আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলের পর বনানীতে গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।এসময় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ডিরেক্টর ফাইন্যান্স মো. ফখরুদ্দিন, পরিচালক আবুল কাশেম, রফিকুল আলম জর্জসহ অন্যান্য পরিচালক, আজীবন সদস্য সহ স্থায়ী সদস্য এবং অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে এবং হাই কোর্ট মাজারেও গরীবদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে দুপুর ১২টা থেকে গরীবদের মাঝে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়। হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
সবশেষে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র লিমিটেডের ক্লাব প্রাঙ্গণে কোরআন খতম, মিলাদ, দোয়া মাহফিল এবং গরীবদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মা ফাতেমা (রা:) মহিলা মাদ্রাসা ও এতিম খানায় খাবার পাঠিয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। সারা দিনব্যাপী প্রায় পাঁচ হাজার গরীব মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।শোক দিবসে জাতীয় পতাকা এবং ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে এবং কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।