শ্রীনগরে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার প্রতিবাদে ইউপি চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ।
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে রাতের আধারে অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি কাটার প্রতিবাদে বীরতারা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ কামাল ঝিল্লুর বিরুদ্ধে মানববন্ধর ও বিক্ষোভ মিছিল স্থানীয় এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১১মার্চ) বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে শুরু করে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত উপজেলার সাতগাও বাজারে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মানববন্ধন কারিরা সাতগাও বাজার থেকে সড়ক প্রদক্ষিন করে সিদ্দিক হাসপাতালের সামনে তাদের ফসলি জমির সামনে গিয়ে মিছিল শেষে করে।
সাতগাও গ্রামবারসীর আয়োজিত মানববন্ধনে অংশ নেয় এলাকার ২শতাধিক নারি পুরুষ। মানববন্ধনে বক্তার বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের আধারে বীরতারা ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শহিদুল্লাহ কামাল জিল্লু ও তার গুন্ডা বাহিনী অর্থের বিনিময়ে রাতের আধারে হরিপদ বারৈ এর ধান রোপন করা জমি ও ময়না রনি দাসের ভুট্টা রোপন করা জমি থেকে জোর পূর্বক মাটি কেটে নিয়ে সিদ্দিক রাহমান হাসপাতালের ব্যক্তিগত রাস্তা তৈরি করে। রাতে মাটি কাটায় বাধা দিতে গেলে চেয়াম্যানের বাহিনির শাহ, সোহাগ, খুইপাড়া গ্রামের মামুন ও দয়হাটা গ্রামের মামুনসহ জমির মালিকদের মারধর করতে চায় ও হুমকি দেয়। পরে তারা পুলিশের সহায়তায় মাটি কাটা বন্ধ করে। জমির মালিক হরিপদ বারৈ বলেন, আমর সাত গাও মৌজার ৫৬ সতাংশ জমিতে এবছর ধান চাষ করেছি। চেয়াম্যানের লোকজন রাতের আধারে ফসলসহ জমির মাটি কেটে রাস্তা তৈরি করেছে। তারা আমাদের প্রায় ১০ শতাংশ জমির মাটি তারা কেটে নিয়ে গেছে। আমি ৫০ হাজার টাকা খরচ করে ধান রোপন করেছি। সেই ধান ও মাটি তারা কেটে নিয়ে গেল। আমি এর বিচার চাই। মায়ারনি দাসের ছেলে সবুজ চন্দ্র দান বলে, আমাদের ভুট্টার জমি থেকে তারা মাটি কেটে নিয়ে গেছ আমি বাধা দিতে গেলে চেয়াম্যানের লোকজন আমাকে মারতে আসে । পরে পুলিশের সহায়তায় তাদের কাজ বন্ধ করাইছি। তবে জনিনা আবার কখান তারা কি করে ফেলে। চেয়ারম্যান ও তার গুন্ডা বাহিনির ভয়ে আছি। বীরতার ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শহিদুল্লাহ কামাল ঝিল্লু বলেন, হাসপাতালে রোগি আশে। সামনে বর্ষা কাল তাই জনগনের চলাচলের স্বার্থে রাস্তাটি করা হচ্ছে। এখনো কোন প্রকল্প দেয়া হয়নি পরবর্তিতে রাস্তাটি কবিখা প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। রাস্তার তৈরির জন্য তো মাটির প্রয়োজন তাই পাশের জমির মাটি ব্যবহার করা হয়েছে।